হাওড়া : বিশ্ব হিন্দু পরিষদের রামনবমীর শোভাযাত্রায় দুষ্কৃতীদের ইঁট ছোঁড়ার ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্য সরকারকে একহাত নেন সোমবার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারি। এদিন হাওড়াতে ওই ঘটনায় আহতদের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। তিনি বলেন, হাওড়াতে যে ঘটনা ঘটেছে তারপরে এই রাজ্যে রাম ভক্তরা আর নিরাপদে নেই। তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সংখ্যালঘুদের তোষণকারী বলেও অভিহিত করেন।
তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, আহতরা সুস্থ্ হলে তাদের সঙ্গে নিয়ে হাওড়াতেই সভা করবেন। তিনি হাওড়া সিটি পুলিশকে সরাসরি এই ঘটনার জন্য দায়ী করেন। তিনি অভিযোগ করেন, বিভিন্ন সম্প্রদায়ের এলাকা থেকে মিছিল গেলেও সেখানে কিছু ঘটে না। শুধু একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের এলাকাতেই এই ঘটনা ঘটলো। পুলিশ চাইলে এই ঘটনা ঘটতে পারতো না। তবে পুলিশ ওই সম্প্রদায়ের লোকেদের আটকায়নি। তিনি দাবি করে বলেন, হিন্দু ধর্ম রক্ষার জন্য যাদের রক্ত ঝরছে তিনি তাদের পাশে আছেন। তাদের চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ্ করে তুলবেন তিনি। তিনি হিন্দু ধর্মের একটি বানী উচ্চারণ করে বলেন, ‘ধর্ম রক্ষতি-রক্ষত’। ওই সভা থেকে এই সনাতনীদেরকে সংবর্ধনা দেওয়ার কথাও জানান।
পাশাপাশি তিনি পুলিশকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, যাদের নামে এফআইআর দায়ের হয়েছে। পুলিশ যদি যথাযথ ব্যবস্থা না নেয় তাহলে তারা উচ্চ আদালতে পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা করবেন। পাশাপাশি রাজ্যপালের সঙ্গে তার সাক্ষাৎকার প্রসঙ্গে জানান, রাজ্যপাল হাওড়া, বাঁকুড়া ও হাঁসখালী কাণ্ডের রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছেন রাজ্যের মুখ্য সচিবের থেকে। রাজ্যপাল ইতিমধ্যেই ট্যুইট করে তা জানিয়েছেন বলেও জানান শুভেন্দু। পাশাপাশি তিনি দাবি করে বলেন গতকালকের শোভাযাত্রা কোনো রাজনৈতিক দলের ছিল না। এটা সনাতনীদের ধর্মীয় শোভাযাত্রা ছিল। প্রসঙ্গত, রবিবার বিশ্ব হিন্দু পরিষদের দ্বারা বের করা রামনবমীর শোভাযাত্রায় ইঁট বৃষ্টি হয় ফজিরবাজার এলাকায়।
দুষ্কৃতীদের ছোঁড়া ইঁটের আঘাতে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের শোভাযাত্রায় থাকা ২০ জন আহত হয়। তাদের চিকিৎসার জন্য হাওড়া হাসপাতালেও নিয়ে আসা হয়। রবিবারের ঘটনার বিরুদ্ধে সোমবার হাওড়া ময়দান এলাকাতে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। তাদের অবস্থান বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে এদিনও ইঁট ছোঁড়ার ঘটনা ঘটে। ভাঙচুরও চালানো হয়। দুষ্কৃতীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। তবে ইঁট ছোঁড়ার ঘটনা আটকাতে ব্যর্থ হচ্ছে বরাবর হাওড়া সিটি পুলিশ অভিযোগ স্থানীয়দের।