উত্তর-পূবালি হাওয়ায় নতুন স্পেল। বর্ষশেষ ও বর্ষবরণে ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা দক্ষিণ ভারতে। ফলে বর্ষশেষ ও বর্ষবরণে ভিজতে পারে উত্তর-পশ্চিম ভারত, এমনটাই জানাচ্ছে মৌসম ভবন। নতুন করে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা আসছে শনিবার।বছরের শেষ দিনে। আর তারই জেরে বছরের শুরুতেই তুষারপাতের সম্ভাবনা উত্তর-পশ্চিম ভারতের পার্বত্য এলাকায়। এদিকে বাংলাদেশে ঘূর্ণাবর্তের জেরে পূবালি হাওয়ার দাপট বাড়ছে। কমেছে উত্তর-পশ্চিমী শীতল হাওয়ার প্রভাব। আগামী কয়েকদিন একই রকম থাকবে তাপমাত্রা। সকালের দিকে হালকা মাঝারি কুয়াশার সম্ভাবনা। এদিকে দক্ষিণবঙ্গ স্বাভাবিকের অনেকটাই উপরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। খুব সকালে হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা। কোথাও কোথাও ঘন কুয়াশার দাপট। কুয়াশা কেটে গেলে মূলত পরিষ্কার আকাশের সম্ভাবনা।
এদিকে আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, বড়দিনের মতো বর্ষবরণেও জাঁকিয়ে শীতের সম্ভাবনা নেই। সকাল সন্ধ্যা শীতের আমেজ থাকলেও দিনের বেলায় শীত কার্যত উধাও। কলকাতায় বেলা বাড়লে শীত উধাও। সকাল ও সন্ধ্যায় খুব হালকা শীতের আমেজ। সকালে হালকা মাঝারি কুয়াশা ও ধোঁয়াশা। পরে মূলত পরিষ্কার আকাশ। এদিকে রাতের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের অনেকটাই উপরে। বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। আগামী কয়েক দিন এরকম আবহাওয়াই থাকবে। সকাল সন্ধ্যায় শীতের আমেজ থাকলেও দিনের বেলায় কার্যত শীত উধাও। আলিপুর আবহাওয়া দফতর থেকে এও জানানো হয়েছে,বুধবার সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিক তাপমাত্রার থেকে ৪ ডিগ্রি বেশি। মঙ্গলবার বিকেলে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৬.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিক তাপমাত্রার থেকে এক ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। বাতাসে জলীয় বাষ্পের সর্বোচ্চ পরিমাণ ৫৩ থেকে ৯৩ শতাংশ। আগামী ২৪ ঘণ্টায় কলকাতা শহরে তাপমাত্রা থাকবে ১৮ থেকে ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শুধু তাই নয়, বর্ষশেষ এবং বর্ষবরণের কটা দিন এমনই থাকবে আবহাওয়া। কলকাতায় স্বাভাবিকের চার ডিগ্রির উপরে উঠল রাতের তাপমাত্রা। সকালে হালকা মাঝারি কুয়াশা। কলকাতার রাতের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের ওপরে। দার্জিলিং-এর পার্বত্য এলাকা ছাড়া রাজ্যে কোথাও বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। আংশিক মেঘলা আকাশ হলেও বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। সকালে ও সন্ধ্যায় হালকা শীতের আমেজ থাকলেও দিনের বেলায় শীত কার্যত উধাও।
এই পশ্চিমী ঝঞ্ঝা যাওয়ার সময় রবিবার থেকে মঙ্গলবারের মধ্যে আরও এক দফায় হালকা বৃষ্টি ও তুষারপাতের সম্ভাবনা সিকিম এবং দার্জিলিংয়ের খুব উঁচু এলাকায়। বাকি উত্তরবঙ্গে শুকনো আবহাওয়া। উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে তাপমাত্রা প্রায় একই রকম থাকবে। হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা থাকবে দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার ও উত্তর দিনাজপুর জেলাতে। একই রকম তাপমাত্রা থাকবে আগামী কয়েক দিন। নতুন করে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা উত্তর-পশ্চিম ভারতে ঢুকবে ৩০ ডিসেম্বর শনিবার। বাংলাদেশ ও সংলগ্ন এলাকায় একটি ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে। দক্ষিণ ভারতে উত্তর পূবালি হাওয়ার প্রভাব। এই প্রভাব বাড়বে শুক্রবার থেকে।
অন্যদিকে বর্ষশেষের পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাব পড়বে উত্তর-পশ্চিম ভারতে। বৃষ্টি ও তুষারপাতের আশঙ্কা। বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি এমনকি শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনা অসম, মেঘালয়, মণিপুর, মিজোরাম, ত্রিপুরা, উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিতে। বৃষ্টির সম্ভাবনা ক্রমশ কমবে দক্ষিণ ভারতেও। তামিলনাড়ু এবং পুদুচেরি মাহে করাইকালে বৃষ্টি চলবে বিক্ষিপ্তভাবে। বৃষ্টি হবে কেরালা মাহে আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ রাজস্থান মধ্যপ্রদেশ মহারাষ্ট্র এবং কর্নাটকে। ঘন থেকে অতি ঘন কুয়াশা সতর্কতা, পঞ্জাব হরিয়ানা এবং উত্তরপ্রদেশে। ঘন কুয়াশার সম্ভাবনা ওড়িশা ঝাড়খণ্ডেও। অসম, মেঘালয়, মণিপুর, মিজোরাম, ত্রিপুরা, উত্তর-পূর্ব ভারতের এই রাজ্যগুলিতে কুয়াশার দাপট থাকবে।