শিক্ষকের মরণোত্তর দেহদানের সাক্ষী পূর্ব বর্ধমান

নিজস্ব প্রতিবেদন, বর্ধমান: অঙ্গীকার মোতাবেক এবার মরণোত্তর দেহদানের সাক্ষী রইল পূর্ব বর্ধমান জেলা। এক শিক্ষকের মৃত্যুর পর পরিবারের লোক তাঁর নিষ্প্রাণ দেহ তুলে দিলেন বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষের হাতে। যা ভবিষ্যতে ডাক্তারি শিক্ষায় প্রয়োজন হবে। দাঁইহাট ব্লাড ডোনার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি জয়দেব দত্তের সহযোগিতায় পরিবারের পক্ষ থেকে ‘মরণোত্তর দেহদান’ করা হল, কেতুগ্রাম থানার বারেন্দা গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক কাশীনাথ ঘোষের।
বছর ৮১ এর কাশীনাথবাবু কয়েকদিন পূর্বে নিজের পরিবারকে জানান, মৃত্যুর পর যেন তাঁর দেহদান করার কথা। সেই মোতাবেক গণদর্পণ সংস্থার অঙ্গীকারপত্র গত ২০ মার্চ ২০২৪ পূরণ করেন এবং ২৭ মার্চ ২০২৪ ভোর চারটে নাগাদ নিজ বাসায় পার্থিব মায়া ছেড়ে ইহলোক ত্যাগ করেন কাশীনাথ ঘোষ। কাশীনাথবাবুর পুত্র দীপঙ্কর ঘোষ মৃত্যুর খবর নিশ্চিত জেনে, তড়িঘড়ি তারকেশ্বর চট্টরাজের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং সমাজকর্মী জয়দেব দত্তের সহযোগিতায় মৃতদেহ বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের অ্যানাটমি বিভাগে পাঠিয়ে দেন।
এ বিষয়ে সমাজকর্মী জয়দেব দত্ত জানান, রক্তদানের মতোই চক্ষুদান, দেহদানও ভালো কাজ। কাশীনাথবাবু শিক্ষকতা জীবনে একাধিক ছাত্রছাত্রীকে তৈরি করেছেন মানুষের মতো মানুষ হিসেবে। তবে মৃত্যুর পরেও বজায় রইল সেই শপথ। দাঁইহাট ব্লাড ডোনার অ্যাসোসিয়েশন এভাবেই সমাজসেবামূলক কাজ করে যাচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

three × 5 =