পুরী। ভ্রমণ প্রিয় বাঙালিদের মধ্যে পুরী যাননি, এমন মানুষ বোধহয় হাতে গোনা। কথায় আছে বাঙালির ঘোরা মানে দীপুদা। মানে দিঘা, পুরী, দার্জিলিং।
তবে ইদানীং প্রবল ভিড়ে, আর বারবার একই সমু্দ্র সৈকতে না গিয়ে লোকে খোঁজেন একটু নিরিবিলি। একটু অন্যরকম কিছু। সমুদ্রই যদি পছন্দ হয় আপনার, আর খুব বেশি দূরে যাওয়া সম্ভব না হয় তাহলে বরং পুরীর বদলে ঘুরে নিতে পারেন গোপালপুর। সৌন্দর্যের বিচারে, চওড়া সমুদ্র সৈকত চাইলে গোপালপুর যেন পুরীরই সহোদর।
ওড়িশার গঞ্জাম জেলায় অবস্থিত গোপালপুর। পুরীর মতো বিস্তৃত সমুদ্র সৈকত থাকলেও, এখানে ভিড় তুলনায় কম। এখান থেকেই গা়ড়ি করে ঘুরে নেওয়া যায় ‘ওড়িশার কাশ্মীর’ দারিংবাড়ি। চাইলে এখান থেকে পুরী গিয়ে জগন্নাথ দর্শনও সারতে পারেন। যেতে পারেন রম্ভাতেও। চিল্কার একটা অংশ রম্ভা, খুবই সুন্দর। ঘুরে নিতে পারেন তারাতারিনী মন্দিরও।
কোথায় থাকবেন?
ওড়িশা পর্যটন বিভাগ (ওটিডিসি)-এর হোটেলে থাকতে পারেন। রয়েছে সমুদ্রের পাশেই একাধিক বিভিন্ন মানের রিসর্ট। আর খরচের ব্যাপারে দরাজহস্ত হলে মে ফেয়ারের মতো দামী হোটেলেও থাকতে পারেন।
কী কী দেখবেন?
এখানকার মূল আকর্ষণ হল সমুদ্র। তাই বেশির ভাগ সময়ে সমুদ্রতীরে ঘুরেই কাটিয়ে দিতে পারেন। এখান থেকে সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্ত দুই-ই ভাল লাগে। পাশেই রয়েছে বহু দিনের পুরনো লাইট হাউস। একটু দূরেই রয়েছে নির্মল ঝোরা এবং তারাতারিণী মন্দির। পরের দিন যেতে পারেন রম্ভায়। পুরীর চিল্কারই বিস্তৃত অংশ হল রম্ভা। পড়ন্ত বিকেলে নৌকাবিহার মনে রয়ে যাবে।