এলাহাবাদ হাইকোর্টের পরে সুপ্রিম কোর্টেও ধাক্কা খেল জ্ঞানবাপী মসজিদ কর্তৃপক্ষ। ‘তহখানা’য় হিন্দুদের পুজো, আরতি বন্ধ করতে অস্বীকার করল শীর্ষ আদালত। তবে মসজিদ চত্বরে হিন্দুপক্ষের ধর্মীয় আচার পালনের বিষয়ে স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে বলা হয়েছে। অর্থাৎ হিন্দুপক্ষের পুজো-আরতির পাশাপাশি, মুসলিমরাও জ্ঞানবাপীতে নমাজের আয়োজন করতে পারবেন। স্বভাবতই এই নির্দেশে খুশি হিন্দুপক্ষ।
‘অঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া (জ্ঞানবাপী) মসজিদ কমিটি’-র তরফে বারাণসী জেলা আদালত এবং এলাহাবাদ হাইকোর্টের পূজা-আরতিতে ছাড়পত্র দেওয়ার নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে যে আবেদন জানানো হয়েছিল, সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চ তা মেনে স্থগিতাদেশ দিতে অস্বীকার করেছে সোমবার। তবে সোমবারের নির্দেশের বিষয়ে কাশী বিশ্বনাথ মন্দির কর্তৃপক্ষের মত জানতে নোটিস পাঠিয়েছে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ।
এর আগে গত ৩১ জানুয়ারি বারাণসী জেলা আদালত জ্ঞানবাপীর দক্ষিণ অংশের ‘ব্যাসজি কা তহখানা’য় আরতি ও পূজাপাঠের অনুমতি দিয়েছিল। গত ২৬ ফেব্রুয়ারি ইলাহাবাদ হাইকোর্ট মুসলিম পক্ষের আবেদন খারিজ করে বারাণসী জেলা বিচারক অজয়কুমার বিশ্বেসের নির্দেশ বহাল রেখেছিল।
উল্লেখ্য, জ্ঞানবাপীতে মোট ৪ টি তহখানা রয়েছে। যেখানে ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত প্রার্থনা চলত। সেখানেই নতুন করে পুজো শুরু হয়েছে। এদিন বিচারপতিদের বেঞ্চ জানায়, চলতি বছরের ১৭ এবং ৩১ জানুয়ারি আদালতের নির্দেশের পরে মুসলিম সম্প্রদায় নির্বিঘ্নে নমাজ পড়ছেন। অন্যদিকে হিন্দুদের পুজোর ব্যবস্থা তহখানার মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখা হয়েছে। আপাতত এই স্থিতাবস্থা বজায় রাখা হবে। উভয় সম্প্রদায় উপরোক্ত শর্ত মেনে উপাসনা করতে পারবে। যদিও আদালত জানিয়েছে, তহখানায় পুজোর অনুমতির বিষয়ে শেষ সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে আগামী জুলাই মাসে।