নিজস্ব প্রতিবেদন, কাঁকসা: যেতে নাহি দিব…।
বুধবার সকালে কাঁকসার প্রয়াগপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের বদলির নির্দেশ আসার খবর চাউর হতেই ßুñলের সামনে বিক্ষোভ দেখান এলাকার বাসিন্দা ও অভিভাবকরা। বুধবার এই ঘটনাকে ঘিরে উত্তেজনার সৃষ্টি হয় বিদ্যালয়ের মধ্যে।
বিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা এবং তাদের অভিভাবকরা বিক্ষোভ দেখান বিদ্যালয়ের শিক্ষকের বদলি আটকানোর জন্য। অবিভাবকরা জানিয়েছেন, বিদ্যালয়ের টিচার ইনচার্জ রাজেশ কুমার অধিকারী দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যালয়ে ছাত্রদের পড়ান। শুধু লেখাপড়া করানোই নয়, বিদ্যালয়ে কোনও ছাত্র ক্লাসে না আসলে পরের দিন তার বাড়ি গিয়ে ওই ছাত্রের অনুপস্থিতির খোঁজ খবর নিয়ে তাকে বিদ্যালয়ে নিয়ে আসতেন। বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের কাছে তিনি একজন অবিভাবক।
আরও দাবি, এলাকার মানুষের কোনও সমস্যা হলে তাঁরা পরামর্শের জন্য ছুটে যান ওই শিক্ষকের কাছে। ওই বিদ্যালয়ে আগে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা একদমই ছিল না। ওই শিক্ষক বাড়ি থেকে ছাত্রছাত্রীদের তুলে এনে ক্লাস করাতেন। বর্তমানে ওই বিদ্যালয়ে ১৪১ জন পড়ুয়া আছে। এমনকি ওই বিদ্যালয়ে বর্তমানে শিক্ষার মান অনেক উন্নত হয়েছে। বুধবার এলাকার মানুষ খবর পান যে, রাজেশ অধিকারীকে বদলি করে দেওয়া হয়েছে। তিনি এই বিদ্যালয় ছেড়ে অন্যত্র চলে যাবেন। এরপরেই গোটা গ্রামে খবর ছড়িয়ে পড়তেই বিদ্যালয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন অবিভাবিকরা।
বিদ্যালয়ের টিচার ইন চার্জ রাজেশ কুমার অধিকারী জানিয়েছেন, এলাকার মানুষ ও পড়ুয়াদের সঙ্গে একটা আবেগ তৈরি হয়েছে। যার কারণে কেউ তাঁকে ছাড়তে চাইছে না। যদিও তিনি গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের বিষয়টি তাঁর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন। তারা বিষয়টি বিবেচনা করে দেখবেন বলে তাঁকে জানিয়েছে।
কাঁকসা ত্রিলোকচন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান প্রসেনজিত ঘোষ জানিয়েছেন, বদলি নয,û ওই শিক্ষকের প্রোমোশন হয়েছে। তাই তাঁকে অন্য জায়গায় যেতে হবে এমনটাই জানা গিয়েছে। আসলে ওই শিক্ষক এলাকায় শিক্ষার মান উন্নত করেছেন। তাঁর সময়ে ছাত্র সংখ্যা বেড়েছে। বিদ্যালয়ে অনুপস্থিতির হার কমেছে। যার কারণে এলাকার মানুষ তাঁকে ছাড়তে চায় না। এই বিষয়ে তিনি ßুñল পরিদর্শকের সঙ্গে কথা বলবেন যাতে ওই শিক্ষককে ওই বিদ্যালয়েই রাখা যায়।