পরীক্ষা পে চর্চায় বৈদ্যুতিন গেজেট থেকে পড়ুয়াদের দূরে থাকতে মন্ত্র প্রধানমন্ত্রীর

বৈদ্যুতিন যন্ত্রের প্রতি আকর্ষণ মানুষকে ক্রীতদাসে পরিণত করে! শুক্রবার দিল্লিতে ‘পরীক্ষা পে চর্চা’ কর্মসূচিতে পরীক্ষার্থীদের মুখোমুখি হয়ে এমনটাই জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

দশম এবং দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষার্থীদের ভরসা দিতে এমন ভার্চুয়াল সভা আগেও করেছেন প্রধানমন্ত্রী। এ বার তাঁর ‘পরীক্ষা পে চর্চা’ কর্মসূচিতে যোগদানের জন্য মোট ৩৮ লক্ষ পড়ুয়া তাঁদের নাম নথিভুক্ত করেছেন। মোট ২০ লক্ষ প্রশ্ন জমা পড়েছিল। এনসিইআরটি-র তরফে সেই প্রশ্নের ঝাড়াই-বাছাই করা হয়েছে, এই প্রশ্নগুলির উত্তর দেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। ছিলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানও।

তিনি বলেন, ‘প্রত্যেক বাড়িতেই একটা করে ‘টেকনোলজি ফ্রি জোন’ রাখা উচিত।’ প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ, সেই ‘প্রযুক্তি বর্জিত অঞ্চলে’ মোবাইল, কম্পিউটার-সহ সব যন্ত্র ব্যবহার বন্ধ থাকবে। সপ্তাহে এক দিন কিংবা দিনে কয়েক ঘণ্টা ডিজিটাল মাধ্যম থেকে দূরে থাকার অভ্যাস তৈরি করারও পরামর্শ দেন তিনি। এ প্রসঙ্গে নিজের উদাহরণ টেনেছেন প্রধানমন্ত্রী। বলেছেন, ‘আমার হাতে কখনও মোবাইল দেখেছেন? আমি কিন্তু সামাজিক মাধ্যমে খুব সক্রিয়। কিন্তু আমি সে জন্য একটি নির্দিষ্ট সময়সূচি বেঁধে দিয়েছি।’

পড়াশোনার জন্য সন্তানকে চাপ না দিতে প্রধানমন্ত্রী শুক্রবার পরামর্শ দিয়েছেন অভিভাবকদের। তিনি বলেন, ‘ওঁদের উপর প্রত্যাশার বোঝা চাপিয়ে দেবেন না।’ নিয়মানুবর্তিতার পাশাপাশি, শিক্ষকদের ‘মোবাইল দেখে না পড়ানোর’ পরামর্শও দেন তিনি। জ্ঞান এবং সাংস্কৃতিক যোগাযোগের সুযোগ বাড়াতে মাতৃভাষার পাশাপাশি, পড়শি রাজ্যের ভাষা শেখার জন্য পড়ুয়াদের পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

দশম এবং দ্বাদশ শ্রেণির বড় পরীক্ষার শেষে পড়ুয়ারা যাতে বাইরের জগৎটা ঘুরে দেখার সুযোগ পায়, সে আবেদনও করেছেন মোদি। তাঁর বক্তৃতায় অভিভাবকদের উদ্দেশে বলেছেন, ‘সম্ভব হলে ওঁদের হাতে কিছুটা টাকা দেবেন। ঘুরে আসতে বলুন। আর ফিরে আসার পর জানতে চাইবেন, ওরা বাইরে থেকে কী শিখে এল।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

one + twenty =