বাগদেবীর আরাধনায় প্রস্তুতি, কপালে চিন্তার ভাঁজ মৃৎশিল্পীদের

নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঁকুড়া: হাতে গোনা আর মাত্র একটা দিন, তারপরে সকলেই মেতে উঠবে বাগদেবীর আরাধনায়, তাই আকাশে বাতাসে আনন্দের ঘনঘটা, কিন্তু এত আনন্দের মধ্যেও মন ভালো নেই বাঁকুড়া জেলার ইন্দাস ব্লকের মৃৎশিল্পীদের। তাঁদের দাবি, অন্যান্য বছরে তুলনায় এ বছর ঠাকুরের চাহিদা অনেকটাই কমেছে। যার কারণে ঠাকুর তৈরি করলেও সেই ভাবে বায়না আসছে না। ফলে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হবে তাঁদের।
তাঁদের আরও দাবি, সারাবছর মৃৎশিল্পীরা এই পুজোর দিকে তাকিয়ে থাকেন কেননা এই সময় দুটো বাড়তি পয়সা ঘরে ঢুকবে এই আশায়। কিন্তু নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি হওয়াতে ঠাকুর তৈরিতেও বেড়েছে খরচের পরিমাণ। যার কারণে ঠাকুর কেনার চাহিদা কমেছে অনেকটাই। অন্যদিকে বর্তমানে এই শিল্পে রোজগার অনেকটাই কমেছে। ফলে বর্তমান প্রজন্ম এই শিল্পের কাজে আসতে চাইছেন না তাঁদের বাপ ঠাকুর দাদার দেখানো পথে। বসন্ত পঞ্চমীর ঠিক পূর্বেই কালো মেঘের যেন ছায়া মৃৎশিল্পী মহলে।
গণেশ মাঝি, সুনীত মাঝি নামের মৃৎ শিল্পীরা জানান, আগের তুলনায় বর্তমানে ঠাকুরের চাহিদা অনেকটাই কমেছে। তবে যে টাকা খরচ করে প্রতিমা তৈরি করা হয়েছে বিক্রি না হলে, ঠাকুর ঘরেই থেকে যাবে। ফলে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হবে তাঁদের। প্রজন্মের পর প্রজন্ম মূর্তি প্রস্তুতকারকরা আক্ষেপের সুরে জানাচ্ছেন, তাঁদের পূর্বসূরিদের দেখানো পথ যেন আজ অন্ধকারাচ্ছন্ন। ভবিষ্যৎ প্রজন্ম এই কাজ থেকে মুখ ফেরানোর জেরে ক্রমান্বয়ে মুখ থুবড়ে পড়তে চলেছে এই শিল্প। তবে এই শিল্প আঁধার কাটিয়ে একদিন আলোর পথে অগ্রসর হবে এই আশায় এখনও বুক বাঁধছেন তাঁরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

2 − one =