২০২৪-এর ৭ জুলাই ব্রিগেড চলোর ডাক ডিওয়াইএফআইয়ের। ১৬ বছর পর এই ব্রিগেড চলোর ডাক। ২০০৮ সালের পর ২০২৪। ব্রিগেড চলোর ডাক নিয়ে শুরু থেকেই অনুমতি নিয়ে চলছিল টানাপোড়েন। তবে বাম যুব নেতারা তাঁদের দাবিতে অনড় ছিলেন।স্পষ্ট জানিয়েছিলন ব্রিগেড হবেই। এদিকে ঠিক হয়ে গিয়েছে মিছিলের রুটও। শিয়ালদহ একটি মিছিল আসবে। যেখানে অংশ নেবে থেকে উত্তর ২৪ পরগনা, নদিয়া আর মুর্শিদাবাদের মিছিল। হাওড়া থেকে যে মিছিল আসবে তাতে থাকবেন বর্ধমান আর মেদিনীপুরের বাম সদস্যরা। এদিকে কলকাতায় ইতিমধ্যে বাম কর্মী -সমর্থকেরা এসে হাজির হয়েছেন এই সমাবেশে যোগ দেওয়ার জন্য।এঁদের থাকার জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছে কৃষক সভার অফিস, সিটুর অফিস। শনিবার সকাল থেকে যাঁরা আসছেন তাঁদের জন্য রানি রাসমণি রোডের একটা লেনে এবং ধর্মতলার মেট্রো চ্যানেলের পেছনে অস্থায়ী তাবু তৈরি করা হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন দলীয় কার্যালয় তাদের থাকার ব্যবস্থা হচ্ছে। সেনাবাহিনীর থেকে ওয়াই চ্যানেল ব্যবহারের অনুমতি চাওয়া হয়েছে। অনুমতি এলে প্যান্ডেল করে সেখানে রাখা হবে সিপিআইএমের কর্মী সমর্থকদের। ডিওয়াইএফআইয়ের থেকে এই খবরও মিলছে যে রবিবারের এই ব্রিগেড সমাবেশে মূল মুখ মীনাক্ষী হলেও বক্তা হিসাবে থাকবেন মহম্মদ সেলিম, আভাস রায় চৌধুরী, কলতান দাশগুপ্ত, ধ্রুবজ্যোতি সাহা সহ আরও অনেকেই। পার্ক স্ট্রিটের দিকে তৈরি হচ্ছে মঞ্চ। অর্থাৎ ভিক্টোরিয়া হাউসের দিকে মুখ করে। এবারই প্রথম এখানে মঞ্চ হচ্ছে। সেনাবাহিনীর কাছ থেকে এমনই অনুমতি মিলেছে। এদিকে যে মূল মঞ্চ তৈরি হয়েছে তা আকারে দৈর্ঘ্যে ৩২ ফুট এবং প্রস্থে ২৪ ফুট। দু’টো ভাগে মঞ্চটাকে ভাগ করা হচ্ছে। মঞ্চের ডান দিকে এবং বাঁদিকে ৪০ ফুটের দু’টো আলাদা মঞ্চ থাকছে। এই মঞ্চ দুটিতে শহিদ পরিবারের সদস্যরা থাকবেন। থাকবেন নেতৃত্ব। মূল মঞ্চে থাকছে ইনসাফ ব্রিগেডের ব্যানার। ব্রিগেড এবং রাস্তায় লাগানো হচ্ছে মোট ৬৫০টি মাইক।
রবিবার সকাল সাতটা থেকেই একাধিক মিছিল এসে জড়ো হবে ব্রিগেডে। মিছিলের দায়িত্বও ভাগ করে দেওয়া হয়েছে নেতাদের কাঁধে। সূত্রের খবর, শিয়ালদহ স্টেশন, হাওড়া স্টেশন, শ্যামবাজার, হাজরার মিছিলের দায়িত্বে থাকছেন শতরূপ ঘোষেরা। পার্ক সার্কাসে থাকবেন সুজন চক্রবর্তী। মিছিল আসবে সেন্ট্রাল মেট্রো স্টেশন, সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার থেকেও।