কলকাতা: রাজ্যজুড়ে ক্রমবর্ধমান ধর্ষণের ঘটনায় যখন বাড়ছে আতঙ্ক, তখন আরও একটি ভয়াবহ অভিযোগ সামনে এল। সেটাও খাস কলকাতায়।
বাবা। যার কাছে সন্তানের নিরাপদে থাকার কথা, সেই বাবার বিরুদ্ধে সৎ মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল। শুধু তাই নয়, ধর্ষণের ফলে মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বাও হয়ে পড়ে। নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছে সৎ বাবা। ঘটনাটি ঘটেছে বেহালায়।
জানা গিয়েছে, বাড়ির কাছেই একটি কলে নিয়মিত জল আনতে যেত মেয়েটি। সেখানেই তাকে কাপড় দিয়ে নিজের পেটের অংশ ঢাকতে দেখে সন্দেহ হয় প্রতিবেশীদের। খবর যায় নাবালিকার মা ও পরিবারের কাছে। জোরাজুরি করতেই বেরিয়ে আসে আসল কথা। জানা যায়, মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা। প্রথমে মেয়েটি ভয়ে বাড়িতে কিছু জানায়নি। বারবার জিজ্ঞেস করতেই কান্নায় ভেঙে পড়ে সে। জানায়, তার সৎ বাবা তাকে ‘ধর্ষণ’ করেছে। তারপরই থানায় লিখিত অভিযোগ জানান নাবালিকার মা ও পরিবারের লোকেরা। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই অভিযুক্তকে পকসো ধারায় গ্রেফতার করেছে বেহালা থানার পুলিশ। এদিনই ধৃতকে আলিপুর আদালতে তোলা হয়। আদালত অভিযুক্তকে ৫ মে পর্যন্ত পুলিশ হেফাজত দেয়।
স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই এলাকারই এক ভাড়া বাড়িতে থাকত নাবালিকা। পরিবারে ছিল সৎ বাবা, মা ও এক বোন। পরিবার সূত্রে জানা গেছে, নাবালিকার মায়ের আগের পক্ষের স্বামী তাঁকে বিক্রি করে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। আগে তাঁরা পাঞ্জাবে থাকতেন। সেখান থেকেই দুই মেয়েকে নিয়ে পালিয়ে আসেন তিনি। কলকাতায় এসে দ্বিতীয়বার বিয়ে করেন। মেয়ের সঙ্গে এমন ঘটনা ঘটায় ভেঙে পড়েছেন নাবালিকার মা। কীভাবে এমন ঘটনা ঘটল, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
বর্তমানে কলকাতা পুলিশের স্পেশাল কমিশনার দময়ন্তী সেন। গত ১২ এপ্রিল তাঁকে রাজ্যের চারটি ধর্ষণকাণ্ড দেগঙ্গা, মাটিয়া, ইংরেজবাজার, বাঁশদ্রোনীর তদন্তে নেতৃত্ব দিতে বলেছিল কলকাতা হাই কোর্ট। পরবর্তীতে নামখানা ধর্ষণ কাণ্ডের তদন্ত ভারও দেওয়া হয় তাঁকে। একের পর এক নাবালিকা ধর্ষণের ঘটনায়, নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।