বিয়ে মানেই এখন বদল সবেতেই। খাবারের মেনু থেকে ওয়েডিং ভেনু, মেকআপ থেকে রূপটান। পোশাক থেকে ফটোশ্যুট।
আগের মতো গাদা গুচ্ছের গান, আর গ্রাফিক্সের মিশ্রনে বোরিং ওয়েডিং ভিডিও-র বদলে এখন জায়গা করে নিচ্ছে ক্যানডিড ছবি। ভিডিও তুলতে ব্যবহার হচ্ছে ড্রোন। আর ফটো শ্যুটের তালিকায় মাস্ট হচ্ছে প্রি ওয়েডিং থেকে পোস্ট ওয়েডিং।
প্রি ওয়েডিং-এর জন্য ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল থেকে ইকো পার্ক, চন্দননগর স্ট্র্যান্ড যেমন জনপ্রিয় তেমনই কিন্তু সেই ফটোশ্যুটেও নিজস্বতা খুঁজছেন অনেকে। অনেকে প্রি ওয়েডিং ফটো শ্যুটে তুলে ধরছেন প্রেমের গল্প।
কলকাতার এমনই কিছু ঠিকানা অন্যভাবে ব্যবহার করতে পারেন আপনার প্রি ওয়েডিং ফটোশ্যুটে
রবীন্দ্র সরোবর- গাছগাছালি আর টলটলে জলের এই লেকের ধারে কলকাতার ছেলে-মেয়েদের অনকেই কিন্তু প্রেম করেছেন। তাহলে প্রি ওয়েডিং ফটো শ্যুটে ফিরে দেখা যেতে পারে সেই দিনগুলিও।
ট্রাম ডিপো– ‘চলো সাজি ট্রাম লাইন…‘ গানের লাইনটা মনে আছে?
কলকাতা মানেই ট্রাম। কলেজ, ইউনিভার্সিটি থেকে ফেরার পথে ট্রামে বসে প্রেম। কলকাতার ঐতিহ্য সেই ট্রামকেও সঙ্গে নিতে পারেন বিয়ের আগের ফটোশ্যুটে।
ফাঁকা ট্রামে চড়ে বা ডিপো থেকে ট্রাম বেরোনোর আগে কিছু ছবি তোলা যেতেই পারে।
কলেজ ক্যাম্পাস- স্কুল শেষে কলেজ। ১৮ এয় এসে স্বাধীনতা। কলেজের দিনগুলিতে জড়িয়ে থাকা বন্ধুত্ব, প্রেম। অনেক যুগলের প্রেম শুরুই হয়েছে কলেজে। তাঁরা কিন্তু সেই কলেজের স্মৃতিটুকু ধরে রাখতে ছোটখাটো ফটোশ্যুট করতেই পারেন কলেজ ক্যাম্পাসে।
চায়ের ঠেক- প্রেম যঅফিস জীবনে হোক বা কলেজ জীবনে, বাঙালির জীবনে চা-কচুরি থাকবে না তেমন কিন্তু হতেই পারে না। তাই মাটির ভাঁড়ে চায়ে চুমুক দিয়ে বিয়ের জীবনের আগেটাকে ফ্রেমবন্দি করতেই পারেন পরিচিত, স্মৃতিমাখা কোনও চায়ের দোকানে।
উত্তর কলকাতার গলি–
পুরোনো কলকাতা দেখা আর বিয়ের আগের ফোটোশুট, দুই করে নেওয়া যেতে পারে। শহরের বিশেষ কিছু জায়গা বেছে নিন। সে শ্যামবাজার মোড় হোক বা কষা মাংসের জন্য বিখ্যাত গোলবাড়ি— এই শহরের প্রাণ আছে যেখানে।
কলেজ স্ট্রিট- যদি আপনি বা আপনারা বইপ্রেমী হন, তাহলে কলেজ স্ট্রিটের সঙ্গে যোগ তো থাকবেই। যদি পড়াশেনা কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় বা প্রেসিডেন্সি থেকে হয়ে থাকে তাহলে তো কথাই নেই। রাস্তা জুড়েই স্মৃতি। কফি হাউজ থেকে দিলখুশা কেবিন, কিম্বা পুঁটিরাম, ফুটপাথের ধারের বইয়ের দোকান, জীবনের পুরনো মুহূর্তকে নতুন করে ফ্রেমবন্দি করতে পারেন প্রি ওয়েডং ফটোশুটে।