গ্রুপ ডি নিয়োগে এবার সিবিআই-এর হেপাজতে প্রসন্ন রায়। কারণ, তদন্তে উঠে এসেছে এসএসসি গ্রুপ ডি নিয়োগ দুর্নীতিতেও জড়িয়ে রয়েছেন এই প্রসন্ন। প্রসঙ্গত, নিউটাউনের প্রোমোটার প্রসন্ন রায়কে নবম ও দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে আগেই গ্রেপ্তার করেছিল সিবিআই।
সিবিআই সূত্রে খবর, ইতিমধ্যে আলিপুর বিশেষ সিবিআই আদালতে প্রসন্নকে নিজেদের হেপাজতে নিয়ে চেয়ে আবেদন করেন গ্রুপ ডি নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তকারী অফিসার। সিবিআই সূত্রে খবর, আদালত সিবিআইঃএর এই আবেদন মঞ্জুর করে। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগার থেকে আলিপুর বিশেষ সিবিআই আদালতে পেশ করা হয় প্রসন্নকে। আদালত থেকেই তাকে নিজেদের হেপাজতে নেয় সিবিআই। সিবিআই-এর তরফ থেকে এও জানানো হয়েছে, গ্রুপ ডি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রসন্নর যোগসূত্র পাওয়া গিয়েছে। উত্তর ২৪ পরগনার একাধিক চাকরি প্রার্থীর জন্য সুপারিশ করা, টাকা নেওয়া সহ নিয়োগ দুর্নীতিতে যোগ মিলেছে প্রসন্নর। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ এই প্রসন্ন প্রভাব খাটিয়েছেন নিজের এলাকায়। চাকরি বিক্রি করে টাকা তুলেছেন, পৌঁছে দিয়েছেন প্রভাবশালীদের কাছে, এমনাটই অভিযোগ সিবিআই-এর আধিকারিকদের।
পাশাপাশি গ্রুপ সি নিয়োগ দুর্নীতিতেও যোগ মিলেছে প্রসন্নর। বাগদার সৎ রঞ্জন ওরফে চন্দন মণ্ডল প্রসন্নর হয়ে কাজ করতেন বলে সিবিআই তদন্তে উঠে এসেছে। তাই চন্দন গ্রেপ্তার হওয়ার পর সংশোধনাগারে গিয়ে প্রসন্নকে জেরা করেন সিবিআই আধিকারিকেরা। জেরা করা হয় প্রসন্নর অফিসের কর্মী প্রদীপ সিংকেও। পরে এই প্রদীপ সিংকেও গ্রেপ্তার করা হয়।
উল্লেখ্য গ্রুপ ডি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় সিবিআইকে। সিবিআই তরফে আদালতে প্রসন্নের ভূমিকা নিয়ে তথ্য তুলে ধরা হয়। আদালত জানতে চেয়েছিল কবে তাকে হেপাজতে নেওয়া হবে। অবশেষে প্রসন্নকে নিজেদের হেপাজতে নিল সিবিআই।