চেয়েছিলেন সার্ভাইক্যাল ক্যানসার নিয়ে সচেতনতার বার্তা দিতে। কিন্তু হয়ে গেল উলট পুরাণ! নিজের মৃত্যু নিয়ে তো বটেই,এমনকী ক্যানসারের মতো মারণরোগ নিয়ে বদ রসিকতা। যে পুনম পাণ্ডে ছিলেন অনেকেরই হার্টথ্রব, তাঁর ঠাট্টা-তামাশার মোড়কে সচেতনতার পাঠ সহ্য হয়নি না নেটপাড়ার। অতঃপর পুনম পাণ্ডের উপর গিয়ে পড়ে সমস্ত রোষ। এই পরিস্থিতিতেই বাংলার গায়ক শিলাজিৎ তাঁকে নিয়ে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেছেন।
শনিবার পুনম পাণ্ডে সশরীরে ভিডিও পোস্ট করতেই বিনোদুনিয়া থেকে রাজনৈতিকমহল সব একেবারে রে-রে করে উঠেছিল। তোলা হয়েছে আইনি পদক্ষেপের দাবিও। ক্ষমা চাইলেও চিঁড়ে ভেজেনি! এবার পুনম পাণ্ডেকে নিয়ে বিশেষ টিপ্পনি শিলাজিৎ মজুমদারের। সোজাসাপটা বলে দিলেন, ‘তুমি যা জিনিস গুরু, বিষ দাঁত ভাঙলে কত সেয়ানার।’ নেটপাড়ায় গোত্তা খাওয়া পুনম পাণ্ডেকে ‘সেলাম’ও জানিয়েছেন শিলাজিৎ।পুনমের উদ্দেশে খোলা চিঠিতে শিলাজিৎ লিখলেন, ‘™রম পূজনীয় পুনম, আপনার সাথে আমার আলাপ নেই। আপনি কী কী কাজ করেছেন আমি জানি না। কিন্তু আপনার এই খেলাটা আমার দারুন লেগেছে। ম্যাডাম আপনাকে প্রণাম। আপনি যে থাপ্পড়টা মারলেন। বড় বড় সেয়ানাদের আপনি জাস্ট বিষ দাঁত ভেঙে দিয়েছেন। আমি বিশ্বাস করি, আপনি এটা জ্ঞানত করেছেন এবং বেশ করেছেন।এরপরই পুনমের উদ্দেশে শিল্পীর সংযোজন, তআপনাকে সেলাম, আপনি আমাকে না চিনেও, না জেনে ও, আমার মত অনেকের ভেতরে লুকিয়ে থাকা বিপ্লবটা করে দিয়েছেন। এর জন্য আপনাকে কোনও ঘোষিত রাজনৈতিক দলে যোগ দিতে হয়নি। এখনও পর্যন্ত। কাল কী হবে জানি না। আপনার কাজ কতটা ফলপ্রসূ হবে জানি না, কিন্তু আপনি যা করলেন এটা আমি বিপ্লব বলে বুঝলাম। আগামীকাল সেটা কী হবে? পতাকা? প্রতীক? পার্টি? না প্রপার্টি ? জানিনা,কিন্তু ইতিহাস হল।’ নিজের বক্তব্যে শিলাজিৎ সংবাদমাধ্যমকেও কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন। তবে নেটপাড়ার একাংশ আবার পালটা পাটকেল ছুঁড়ে সেটাকে ‘অহেতুক’ বলেও নিন্দে করেছেন।
প্রসঙ্গত, জরায়ুমুখের ক্যানসাবা সার্ভাইক্যাল ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে পুনম পান্ডের, শুক্রবার বেলা ১১টা নাগাদ এই খবর ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ৩২ বছরের নায়িকার এই আকস্মিক মৃত্যু ঘিরে দানা বাঁধে রহস্য। অবশেষে জবাব দিলেন পুনম নিজেই! হ্যাঁ, বেঁচে আছেন পুনম পাণ্ডে। মৃত্যুর ভুয়ো খবর ছড়িয়েছিলেন নিজেই! ভিডিয়ো বার্তা জারি করে জানালেন মৃত্যুর ভুয়ো খবর ছড়ানোর কারণ। ভিডিয়ো বার্তায় পুনমকে বলতে শোনা যায়, ‘আমি ক্ষমা চাইছি, আমার জন্য যে অসুবিধা হয়েছে, যাঁরা আমার জন্য আহত হয়েছেন। কিন্তু আমার অভিপ্রায় ছিল সকলকে শক দেওয়ার, কারণ আমরা সার্ভিক্যাল ক্যানসার নিয়ে সচেতন নই। সেই কারণেই আমি মৃত্যুর মিথ্যে নাটক করেছি। জানি হয়ত বিষয়টা বাড়াবাড়ি, কিন্তু এর জন্য হঠাৎ করে জরায়ু-মুখ ক্যানসার নিয়ে কথা বলছে’।