স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে খেলার মাঠ। সেই মাঠে লোকজন নিয়ে এসে সাফাই কাজ ও মাপজোপ শুরু হতেই বাধা দিলেন এলাকার লোকজন। শংকর রায় নামে ওই ব্যক্তিকে ক্লাবঘরে আটকে রাখা হয়। পরে পুলিশ এসে তাঁকে উদ্ধার করেন।
শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে ভাটপাড়া পুরসভার ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের শ্যামনগর পণ্ডিত পুকুর এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সেখানে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়েছিল ডোবা-সহ প্রায় সাত বিঘে জমি, যা বুড়ির মাঠ নামেই পরিচিত। পরিত্যক্ত জমিটিকে সংস্কার করে খেলার উপযুক্ত মাঠ গড়ে তোলেন স্থানীয়রা। মাঠ লাগোয়া পুরসভার ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত নিরঞ্জন সেন পল্লি নেতাজি সংঘ ক্লাবের তরফে মাঠটির দেখভাল করা হয়। শ্যামনগর অঞ্চলের কচিকাঁচারা ওই মাঠে খেলাধূলা করে।
নিরঞ্জন সেন পল্লি উন্নয়ন সমিতির সম্পাদক নেতাজি ঘোষ জানান, বেলঘড়িয়ার বাসিন্দা শঙ্কর রায় দু’জন সাফাই কর্মীকে নিয়ে খেলার মাঠে আসন। মাপজোক করার সময় এলাকার লোকজন এসে তাঁকে ™াকড়াও করে ক্লাবে এনে আটকে রাখেন। খবর পেয়ে জগদ্দল থানার পুলিশ এসে শঙ্কর রায় নামে ওই ব্যক্তিকে ক্ষিপ্ত জনতার হাত থেকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য। নেতাজি ঘোষের দাবি, খেলার মাঠটিকে দখল করে কেউ প্রমোটিং করার ফন্দি এঁটেছে। তবে এর পিছনে স্থানীয় কারও মদতও থাকতে পারে।
তাঁর হুঁশিয়ারি, খেলার মাঠ বাঁচাতে তারা লড়াই চালিয়ে যাবেন। অন্য দিকে ভাটপাড়া পুরসভার সিআইসি তথা ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হিমাংশু সরকার বলেন, ‘পুরসভার ২৮ ও ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা খেলার মাঠটিকে বহু বছর ধরে আগলে রেখেছেন। যদিও খেলার মাঠটি ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যে পড়ে। এদিন এক ব্যক্তি এসে দাবি করেন ওই জমির মালিক রতন রায়। তিনি মালিকের কথা মতো জমিটা দেখভাল করতে এসেছিলেন। কিন্তু জমির সঠিক নথিপত্র দেখাতে না পারায় পুলিশ ওই ব্যক্তিকে থানায় নিয়ে গিয়েছে।’ হিমাংশু সরকার জানান, প্রশাসন বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। প্রশাসনের ওপর তাদের আস্থা আছে। জনতার হাতে আটক শঙ্কর রায় জানান, কলকাতার ভবানীপুরের বসিন্দা রতন রায় ওই জমির মালিক। রতন বাবু সম্পর্কে তার বেয়াই হন। তিনি অসুস্থ। তাই ওনার ছেলে অনন্ত রায় তা¥কে পাঠিয়েছেন জমিটা কী অবস্থায় রয়েছে, তা দেখতে। তবে এদিন তিনি মাঠের ধারের জঙ্গল সাফাই করতে এসেছিলেন। কিন্তু এলাকার লোকজন তা¥কে আটকে রাখে।