ওই ক্লাব থেকেই জন্ম হয়েছিল পেলে নামের এক বিস্ময় বালকের। বিশ্ব ফুটবলে আরও কিছু মণিমুক্তো দিয়েছে ওই ক্লাব। নেইমার নামের একটা বাচ্চা ছেলের জন্ম হয়েছিল ওই ক্লাবেরই আঁতুরঘরে। পেলে-নেইমারের সেই ক্লাব স্যান্টোস এফসি নেমে গেল ব্রাজিলের প্রিমিয়ার ডিভিশন থেকে। পালমেইরাস চ্যাম্পিয়ন হল এই মরসুমের ফুটবল লিগের। তবু ব্রাজিল ফুটবলে স্যান্টোসের এই অবনমন অন্ধকারের মতোই। অসংখ্যবার লিগ খেতাব জিতেছে পেলে-নেইমারের ক্লাব।
১১১ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম অবনমনের মুখে পড়তে হল স্যান্টোসকে। আগামী মরসুমে দ্বিতীয় ডিভিশনে খেলতে হবে স্যান্টোসকে। সাও পাওলো, ফ্লামেঙ্গোর মতো স্যান্টোসও ছিল ব্রাজিলের ঐতিহ্যশালী ক্লাব। যারা কখনও অবনমনের মুখে পড়েনি। অন্য দুই ক্লাব ঐতিহ্য টিকিয়ে রাখতে পারলেও স্যান্টোস পারল না। বছর খানেক আগে যেখানে শেষকৃত্য হয়েছিল পেলের, সেই এস্তাদিও আরবানো ক্লদেইরাতেই ফোর্তালেজার কাছে ১-২ হেরে গেল স্যান্টোস। ম্যাচ জিতলে অবনমন বাঁচত। তা হল না। বাহিয়ার থেকে ১ পিছন শেষ করে স্যান্টোস। ফোর্তালেজার কাছে হারের পর স্যান্টোস সমর্থকরা বিক্ষোভে সামিল হন। তাঁরা মাঠে ঢুকে পড়েন। অশান্ত পরিস্থিতি সামাল দিতে হাজির হয় পুলিশ। শেষ পর্যন্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। কিন্তু স্যান্টোস সমর্থকদের যন্ত্রণা কমেনি তাতে।
১৭ বছর বয়সে স্যান্টোসে আত্মপ্রকাশ হয়েছিল পেলের। বাকিটা ইতিহাস। ১৯৫৬ থেকে ১৯৭৪ সাল পর্যন্ত ১৯ বছর ওই ক্লাবের হয়ে খেলেছেন পেলে। অসংখ্য গোল করেছেন। পেলের হাত ধরেই ছ’টা খেতাব জিতেছিল স্যান্টোস। নেইমারও ওই ক্লাব থেকেই শুরু করেন কেরিয়ার। বার্সেলোনা যাওয়ার আগে ওই ক্লাবের হয়েই ১০০ গোল করেছিলেন নেইমার। রিয়াল মাদ্রিদের ফরোয়ার্ড রড্রিগোও খেলেছেন স্যান্টোসে খেলেছেন বেশ কয়েক মরসুম।