নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঁকুড়া: শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি করে অযোগ্যদের চাকরি পাইয়ে দেওয়া থেকে মিড ডে মিলে দুর্নীতির অভিযোগ। শিক্ষাক্ষেত্রে একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগের খবরে যখন তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি, তখন অন্য ছবি ধরা পড়ল বাঁকুড়ার গেলিয়া দেশবন্ধু প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। স্কুল থেকে ছাত্রপ্রাণ শিক্ষকের বদলি ঠেকাতে রীতিমতো স্কুল ঘেরাও করে বিক্ষোভে ফেটে পড়লেন এলাকার অভিভাবকরা। সকলের একটাই দাবি, ‘যেতে নাহি দিব…’।
জানা গিয়েছে, গেলিয়া দেশবন্ধু প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বছর ২৩ আগে সহ শিক্ষক হিসাবে যোগ দেন স্বদেশ পাল। কাজে যোগ দেওয়ার পর থেকে মূলত তাঁর উদ্যোগেই ধীরে ধীরে স্কুলের ভোল বদলাতে থাকে। ফিরতে শুরু করে স্কুলের পঠনপাঠনের মান। লেখাপড়া থেকে শুরু করে খেলাধূলা, সংস্কৃতি সহ অন্যান্য বিষয়ে ধীরে ধীরে জেলার শিক্ষা মানচিত্রে অন্যতম ভালো স্কুল হিসাবে পরিচিতি লাভ করে গেলিয়া দেশবন্ধু প্রাথমিক বিদ্যালয়। সম্প্রতি পদোন্নতি হয় স্বদেশ পালের। কাউন্সেলিংয়ের পর স্বদেশ পাল জানতে পারেন প্রধান শিক্ষক হিসাবে তাঁকে যোগ দিতে হবে অন্য স্কুলে। ঘটনার কথা জানার পরই ক্ষোভে ফুঁসতে থাকে গোটা এলাকা। বুধবার এলাকার সমস্ত অভিভাবকরা স্কুলে জমায়েত করে এই বদলির বিরোধিতা করতে থাকেন। তাঁদের দাবি, ছাত্রদরদী ওই শিক্ষককে কোনও ভাবেই তাঁরা অন্য স্কুলে যেতে দেবেন না। অভিভাবকদের এমন আচরণে আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন খোদ শিক্ষক স্বদেশ পালও। তাঁর বক্তব্য, তিনি নিরুপায়। সরকারি নির্দেশে তাঁকে অন্য স্কুলে যেতেই হবে।