পান্নুন হত্যার ষড়যন্ত্র ভারত-আমেরিকার কূটনৈতিক সম্পর্কে তিক্ততার আশঙ্কা

ওয়াশিংটন, ১৭ ডিসেম্বর: আশঙ্কার মেঘ ঘনীভূত। খলিস্তানি জঙ্গি গুরুপতবন্ত সিং পান্নুনকে হত্যার ষড়যন্ত্র ভারত ও আমেরিকার কূটনৈতিক সম্পর্ক তিক্ত করতে পারে বলে আমেরিকান কংগ্রেসের ভারতীয় বংশোদ্ভূত এমপিরা মনে করছেন। একটি বিবৃতিতে ™াঁচজন এমপি দাবি করেছেন, বিষয়টি নিয়ে তাঁরা ভীষণ চিন্তিত। আর এই অভিযোগ নিয়ে পদক্ষেপ না করলে তা দু’দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কে ব্যাপক আঘাত হানতে পারে।
অমি বেরা, পামেলা জয়পাল, রো খন্না, রাজা কৃষ্ণমূর্তি ও শ্রী থানেদার নামে আমেরিকান কংগ্রেসের ভারতীয় বংশোদ্ভূত পাঁচ এমপি শনিবার একটি যৌথ বিবৃতি দেন। সেখানে তাঁরা জানিয়েছেন, পান্নুনকে হত্যার চেষ্টার অভিযোগ ভীষণই উদ্বেগজনক। নিখিল গুপ্তের বিরুদ্ধে পান্নুনকে হত্যার ষড়যন্ত্রের যে অভিযোগ সামনে এসেছে, সে বিষয়ে আমেরিকান প্রশাসন বিচার বিভাগের সামনে গোপন বক্তব্য পেশ করার পরই এমপি-রা এই বিবৃতি দিয়েছেন।
এই এমপি-রা জানিয়েছেন, ‘ভারত ও আমেরিকার অংশীদারি দু’দেশের মানুষের মধ্যেই প্রভাব ফেলেছে। তবে আমরা উদ্বিগ্ন কারণ অভিযোগের বিষয়ে পদক্ষেপ না করলে দু’দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কে বিরাট প্রভাব পড়তে পারে। অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করে ভারতের দেখা উচিত, আর দোষীদের শাস্তি দেওয়া উচিত। এই ঘটনায় ভারতীয় আধিকারিকরা দোষী সাব্যস্ত হলে তাঁদের বিরুদ্ধেও পদক্ষেপ করা জরুরি এবং ভবিষ্যতে এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হওয়ার আশ্বাস ভারতের তরফে দেওয়া উচিত।’ পান্নুনকে হত্যার চেষ্টার অভিযোগকে খতিয়ে দেখতে নয়াদিল্লি যে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গড়ার কথা বলেছে, তাতে অবশ্য ভারতীয় বংশোদ্ভূত এমপি-রা স্বাগত জানিয়েছেন।
এর মধ্যেই নিখিল গুপ্তের পরিবার আমেরিকার সুপ্রিম কোর্টে আর্জি জানিয়েছে। সেখানে বিভিন্ন ভাবে নিখিল গুপ্তের নাগরিক অধিকার হরণের অভিযোগ করা হয়েছে। সেখানে দাবি করা হয়েছে, প্রাগ বিমানবন্দরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্য পরিচয়ে কিছু ব্যক্তি কোনও কারণ না দেখিয়েই নিখিলকে আটক করেন। তাঁকে জোরপূর্বক একটি গাড়িতে বসিয়ে ফোন কেড়ে নেন তাঁরা। তিন ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এমনকি নিখিল গুপ্তকে আটক বা গ্রেপ্তারের বিষয়টি চেক প্রজাতন্ত্রের সরকার ভারতীয় দূতাবাসকে জানায়নি। ফলে এতে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘিত হয়েছে। আরও দাবি করা হয়েছে, নিখিলের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড কর্নার নোটিশ থাকার কথা একেবারেই ঠিক নয়। কারণ এর আগে দিল্লি বা তুরস্কের বিমানবন্দরে তাঁকে কেউ আটকাননি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

twelve + 20 =