ব্যারাকপুর: স্থানীয় পুলিশের ওপর আস্থা নেই। সিবিআই কিংবা সিআইডি তদন্ত চান। এমনটাই দাবি নিহত পানিহাটি পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের নব নির্বাচিত তৃণমূল কাউন্সিলর অনুপম দত্তের স্ত্রী মীনাক্ষি দত্তের। যদিও খুনের ঘটনার পরদিন তিনি সিবিআই তদন্তের দাবি করেছিলেন। তার একদিন পরেই আবার সিআইডি তদন্তের দাবি করলেন। যদিও ইতিমধ্যেই এই খুনের তদন্তভার সিআইডি-কে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি মৃতের স্ত্রী মীনাক্ষী দত্ত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে চান।
গত রবিবার এক দুষ্কৃতীর গুলিতে খুন হন অনুপম দত্ত। ইতিমধ্যেই মূল অভিযুক্ত-সহ তিন জন ধরা পড়েছে। নিজের এলাকায় ভর সন্ধেয় নব নির্বাচিত কাউন্সিলর খুনে প্রশ্ন উঠেছে নিরাপত্তা নিয়ে। এই ঘটনায় মৃতের স্ত্রী চান মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে। তাঁর কথায়, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মায়ের মতো। যা বলার ওঁকেই বলবো। তাঁর স্বামীর রাজনৈতিক উত্থানে অনেকের চক্ষুশূল হয়েছিলেন বলেও তিনি সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। স্বামীর খুনের প্রকৃত বিচারের পাশাপাশি সক্রিয় রাজনীতিতে আসতে চান মীনাক্ষি। জানালেন, স্বামী যে যুদ্ধে নেমেছিলেন, তিনিও সেই যুদ্ধে অবতীর্ণ হতে চান। মৃতের স্ত্রীর দাবি, ‘ওঁর প্রচুর শত্রু ছিল। কিন্তু কী কারণে তা জানেন না।
১৩ মার্চ সন্ধেয় আগরপাড়া নর্থ স্টেশন রোডের একটি ওষুধের দোকানের সামনে দুÜৃñতীদের গুলিতে খুন হয়েছিলেন পানিহাটি পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর অনুপম দত্ত ওরফে ধলু। সেই ঘটনায় কমলাবাগান হোগলা জঙ্গল থেকে ওইদিন গভীর রাতে মূল অভিযুক্ত অমিত পণ্ডিত ওরফে শম্ভুনাথকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। খুনে ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্রটিও উদ্ধার করেছে। হোগলা জঙ্গল থেকে পুলিশ মেমারি-শেওড়াফুলি রিটার্ন টিকিট খুঁজে পায়। সেই টিকিটের সূত্র ধরে সোমবার রাতে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট ও খড়দা থানার পুলিশ হানা দেয় বর্ধমানের কালনার সিমলান ও আগ্রাহাটি গ্রামে। সেখান থেকে সঞ্জীব পণ্ডিত ওরফে বাপি ও প্রসেনজিৎ পণ্ডিতকে গ্রেফতার করা হয়। সূত্রের খবর, সঞ্জীব ও প্রসেনজিৎ ধৃত অমিত পণ্ডিতের মাসির ছেলে। পাশাপাশি ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের গোয়েন্দা টিম সোমবার রাতে বারুইপুরে হানা দিয়ে তিন জনকে আটক করে। সূত্র বলছে, অনুপম দত্ত খুনে ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্র ওই তিন জন সরবরাহ করেছিল শুটার অমিতকে। মঙ্গলবার ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মা সাংবাদিকদের জানান, পানিহাটি খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্তকে আগে পাকড়াও করা হয়েছে। এদিন সঞ্জীব পণ্ডিত ওরফে বাপিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই খুনের ঘটনার সঙ্গে সঞ্জীব সরাসরি যুক্ত। বুধবার ধৃতকে আদালতে পেশ করা হবে। তদন্ত এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে।