নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঁকুড়া: বোদাই নদীর ওপর দীর্ঘদিন জরাজীর্ণ বাঁশের সাঁকো আতঙ্ক নিয়ে পারাপার গ্রামবাসীর, আবার অনেকেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বোদাই নদী পারাপার করছেন বলে দাবি।
সোনামুখী ব্লকের পূর্ব নবাসন পঞ্চায়েতের রণপুর এলাকায় পঞ্চায়েত অফিসের পেছন দিয়ে বয়ে গিয়েছে বোদাই নদী। এই নদী পারাপারের একমাত্র ভরসা একটি বাঁশের সাঁকো আর সেই বাঁশের সাঁকোটি দীর্ঘদিন ধরে জরাজীর্ণ অবস্থায় পরিণত হয়েছে। এককথায় বেহাল হয়ে পড়েছে বাসের সাঁকোটি। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কোনও রকমে গ্রামবাসীরা পারাপার করছেন আবার অনেকেই বোদাই নদীর ওপর দিয়েই জীবনের ঝুঁকি নিয়েই পারাপার করে চলেছেন বলে দাবি।
এলাকাবাসীর দাবি, বাশের সাঁকোটি এতটাই জড়জীর্ণ যে মহিলারা সাঁকোটি পারাপার করতে পারেন না তাই তাঁদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বোদাই নদীর ওপর দিয়ে পারাপার করতে হচ্ছে। কিন্তু তারপরেও হুঁশ ফিরছে না প্রশাসনের। বেশ কয়েকটি গ্রামের সাধারণ মানুষের নিত্যদিন যাতায়াত করতে হয় এই সাঁকোর ওপর দিয়ে। সব থেকে বেশি সমস্যায় পড়তে হয় ছাত্র-ছাত্রীদের। এই বাঁশের সাঁকো দিয়ে পারাপারের সময় কোনও প্রাণহানির মতো মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটলে তার দায় কে নেবে সেটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন।
অতনু দুয়ারি, পলাশী দেবনাথরা দাবি করেন, দীর্ঘদিন ধরে বাশের সাঁকোটি বেহাল হয়ে পড়েছে। একপ্রকার জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই বাঁশের সাঁকো পারাপার করতে হয়। প্রশাসনের কাছে আর্জি দ্রুত এখানে একটি স্থায়ী কংক্রিটের ব্রিজ তৈরি করা হোক। এ বিষয়ে সোনামুখী ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কুশল বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘বিষয়টা আমাদের নজরে এসেছে। দ্রুত এই সমস্যার সমাধান কী ভাবে করা যায় তার প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে।’
আর এই সমস্যা নিয়ে শুরু হয়েছে শাসক-বিরোধী তরজা। সোনামুখী বিধানসভার বিজেপি বিধায়ক দিবাকর ঘরামি জানান, তৃণমূল কংগ্রেস শুধু কাটমানি নিয়ে ব্যস্ত আছে মানুষের উন্নয়নের দিকে এদের কোনও নজর নেই। অন্যদিকে বাঁকুড়া জেলা পরিষদের তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্য দেবাশিস ঘোষ জানান, এলাকায় বিজেপি বিধায়ক, সাংসদ রয়েছেন তাঁরা এলাকার কোনও উন্নয়ন করছেন না। তাঁরা শুধু রাজনীতি নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন। তবে ইতিমধ্যেই এই সমস্যার কথা জেলা পরিষদে জানানো হয়েছে বলে জানান তিনি।