রাতারাতি মোহনবাগান থেকে ইস্টবেঙ্গলে? আনোয়ার আলিকে নিয়ে ‘ডার্বি’ শুরু ময়দানে!

ময়দানে এখনও কান পাতলে শোনা যায় সাতের দশকের দলবদলের বহু উত্তেজক গল্প। গত শতাব্দী জুড়ে ছিল সে সব রোমাঞ্চকর কাহিনি। সময় বদলেছে। তাল মিলিয়ে বদলে গিয়েছে অনেক কিছুই। দলবদলের বাজারে ফুটবলার নেওয়ার পদ্ধতিতেও এসেছে বদল। গুঞ্জন, ফিসফাস আছে। কিন্তু ফুটবলার হাইজ্যাক করার মতো গল্প আর নেই। সেই সাতের দশক না হলেও তার খানিক রোমাঞ্চ ফিরল ময়দানে। অনেক দিন পর এক ফুটবলারকে নিয়ে রীতিমতো দড়ি টানাটানি থেকে টেক্কা দেওয়া, সবই চলল। শেষ পর্যন্ত জিতল কে? লাল-হলুদ না সবুজ-মেরুন? ময়দানে আলোচনা তুঙ্গে।

ইস্টবেঙ্গলের পোড় খাওয়া কর্তা দেবব্রত সরকার। দলবদলের সঙ্গে একটা সময় ওতোপ্রোতভাবে জড়িয়েছিলেন নীতু। কৃশানু দে, বিকাশ পাঁজি জুটিকে লাল-হলুদে নিয়ে আসার অন্যতম কারিগর ছিলেন। সেই দেবব্রত সরকার আবার নামলেন ময়দানে। আর নেমেই ঘুরিয়ে দিলেন খেলা। ময়দানে এই মুহূর্তে সবচেয়ে চর্চিত নাম আনোয়ার আলি। মোহনবাগানের এই ডিফেন্ডারকে নিয়ে দড়ি টানাটানি চরমে। গতকাল পর্যন্ত আনোয়ার ছিলেন মোহনবাগানে। কিন্তু আজকের পর তাঁর স্ট্যাটাস? সেটা নিয়ে হাজারও প্রশ্ন। ইস্টবেঙ্গলে কি নাম লিখে ফেলেছেন?

গত বছরই মোহনবাগানের হয়ে ৫ বছরের লোন চুক্তিতে সই করেছিলেন আনোয়ার আলি। বছর ঘুরতেই নতুন মোড়। দিল্লি এফসির কর্তা রঞ্জিত বাজাজের টুইট শোরগোল ফেলে দেয় ময়দানে। তাঁর দাবি, ১ বছরের পর লোন ট্রান্সফার আর কার্যকর হয় না। নতুন করে আবার চুক্তি করতে হয়। ফিফা এই নিয়ম ২০২২ সালে কার্যকর করলেও, এ দেশে এখনও তা চালু হয়নি। সেই যুক্তি অনুযায়ী মোহনবাগান নিজের জায়গায় ঠিক। তবে লোন ট্রান্সফারের ক্ষেত্রে আবার ফুটবলারের ভূমিকাও অনেকটা ফ্যাক্টর। তখন দেখতে হয়, চুক্তিতে টার্মিনেশন ক্লজ বা এক্সিট ক্লজ বলে কিছু আছে কিনা।

খোঁজ নিতে গিয়ে চাঞ্চল্যকর খবর বেরিয়ে পড়েছে। আনোয়ারকে পেতে নাকি চণ্ডীগড় গিয়েছিলেন ইস্টবেঙ্গলের শীর্ষ কর্তা দেবব্রত সরকার। আর সেখানেই পঞ্জাবি ফুটবলারকে একপ্রকার ফাইনাল করে ফেলে লাল-হলুদ। এমনও বলা হচ্ছে, ৫ বছরের চুক্তিতে ইস্টবেঙ্গলে নাকি সই করে দিয়েছেন আনোয়ার আলি। আর তা হয়ে থাকলে আনোয়ারকে নিয়ে যে জল অনেক দূর গড়াবে, তা আন্দাজ করাই যায়।

আনোয়ার ইস্যুতে যে মোহনবাগান আইনি পথে হাঁটবে, দিনের আলোর মতো পরিষ্কার। তখন প্লেয়ার স্ট্যাটাস কমিটিতে আনোয়ারের ভাগ্য নির্ধারণ হবে। এ ক্ষেত্রে ফুটবলারের মত জানতে চাওয়াটাও গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট। আবার ইস্টবেঙ্গলও নিজেদের অবস্থান ছেড়ে সরবে না। মাঠের বাইরে আনোয়ারকে নিয়ে যে ডার্বি হতে চলেছে, তা বলাই বাহুল্য।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

seventeen − six =