ভারতীয় ক্রিকেট প্রেমীদের কাছে তাঁর জনপ্রিয়তা একবিন্দুও কমেনি। ক্রিকেটার হিসেবে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় প্রাক্তন হতে পারেন, তাঁর উপহার দেওয়া সুন্দর মুহূর্তগুলো একইরকম রয়ে গিয়েছে। দেশের যেখানেই যান, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে নিয়ে আলাদা উন্মাদনা। বাংলা ও বাঙালির আবেগ। দেশের গর্ব সৌরভকে নানা আবদারও মেটাতে হয় অনেক সময়। যেমনটা এদিনও করলেন। কলকাতা ফেরার জন্য রুট ঠিক করাই ছিল। কিন্তু হঠাৎই রুট বদল সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের! ভক্তের অনুরোধ রাখতেই এমন সিদ্ধান্ত কিংবদন্তি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের।
ছেলে বেলা থেকেই সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে মনপ্রাণ দিয়ে ভালো বেসেছেন। স্বপ্ন ছিল একদিন প্রিয় মহারাজের সঙ্গে দেখা করবেন। অনেক আগেই সেই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। এবার বাঁকুড়া সফরে এসে তাঁরই অনুরোধে রুট বদলে বিষ্ণুপুরে হাজির হলেন বাংলার দাদা। দেখা করলেন ভক্ত মানস চট্টোপাধ্যায়ের মা ও বাবার সঙ্গে। মহারাজের এমন আচরণে আপ্লুত তাঁর একনিষ্ঠ ভক্ত মানস ও তাঁর পরিবার।
রবিবার বাঁকুড়া শহরের তামলীবাঁধ ময়দানে এমপি কাপ ক্রিকেটের উদ্বোধনে বাঁকুড়ায় যান ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। খবর পেয়ে সটান সেখানে হাজির হন বিষ্ণুপুরের ভগৎ সিং স্ট্যাচু মোড়ের বাসিন্দা মানস চট্টোপাধ্যায়। তাঁর প্রতি মানসের ভালোবাসার পরিচয় আগেই পেয়েছিলেন সৌরভ। সেই ভালোবাসার মূল্য দিয়েছেন সৌরভও। শুধু ব্যক্তিগতভাবে মানসের সঙ্গে বিভিন্ন সময় সৌরভ দেখা করেছেন তাই নয়, নিয়মিত যোগাযোগও তৈরী হয়েছে দুজনের মধ্যে। এবার বাঁকুড়া সফরে গেলে যথারীতি সৌরভের অনুষ্ঠানে হাজির হন মানস। কথা ছিল অনুষ্ঠান শেষে দুর্গাপুর হয়ে সড়কপথে কলকাতায় ফিরবেন সৌরভ। এর মাঝেই টুইস্ট।
অনুষ্ঠানের ফাঁকে তাঁর একনিষ্ঠ ভক্ত মানস আবদার করেন বাবা-মায়ের সঙ্গে মহারাজের সাক্ষাৎ করানোর। ভক্তের আবদার ফেরাননি সৌরভ। রুট বদলে মানসকে সঙ্গে নিয়ে সটান হাজির হন বিষ্ণুপুরে। সৌরভ গাড়ি থেকে না নামলেও বিষ্ণুপুরের ভগৎ সিং মোড়ে প্রায় ২০ মিনিট দাঁড়িয়ে থাকে তাঁর কনভয়। পরে মানস তাঁর বাবা ও মাকে ভগৎ সিং মোড়ে নিয়ে এলে তাঁদের সঙ্গে দেখা করেন সৌরভ। উভয় পক্ষের মধ্যে হয় কুশল বিনিময়ও। এরপরই সৌরভ আরামবাগ হয়ে রওনা দেন কলকাতার উদ্দেশ্যে।