অযোধ্যার রামমন্দিরের উদ্বোধনের আগে বুধবার শুরু হল কলকাতা থেকে অযোধ্যা পর্যন্ত বিমান পরিষেবা। সপ্তাহে তিন দিন এই পরিষেবা চালু থাকবে। কলকাতার নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে পৌনে ৩ ঘণ্টায় সরাসরি পৌঁছে যাওয়া যাবে অযোধ্য়া। সম্প্রতি অয়োধ্যার মহর্ষি বাল্মীকি বিমানবন্দরের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দেশের প্রায় সব প্রান্ত থেকে এই বিমানবন্দরে যোগাযোগের ব্যবস্থা থাকছে।
বুধবার বেলা দেড়টায় অযোধ্যাগামী প্রথম বিমানের সিংহভাগ যাত্রীই পাড়ি দিলেন ২২ জানুয়ারি রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠানে সশরীরে হাজির থাকার উদ্দেশ্যে। অনেকেই প্রথম উড়ানের সাক্ষী হতে আগেভাগেই অযোধ্যা যাত্রা করলেন।
আগামী ১৯ তারিখের পর কার্যত হাউস ফুল অযোধ্যায় মাথা গোঁজা তো দূরের কথা, তিল ধারণের জায়গা থাকবে না। মূলত এই আশঙ্কা থেকেই অনেকেই প্রথম দিনের প্রথম ডাইরেক্ট ফ্লাইটে পাড়ি দিলেন সরয়ু নদীর তীরে। তাদের বিমানবন্দরে অভিবাদন জানাতে উপহার ও মিষ্টি নিয়ে হাজির ছিলেন বিজেপি রাজ্য কমিটি সদস্য নারায়ণ চট্টোপাধ্যায়-সহ বেশকিছু নেতা কর্মী।
যাত্রীদের মধ্যে সবার আগে বিমানবন্দরের সিকিউরিটি পাস তুললেন জুনাগড়ের বাসিন্দা নেহাল যোগীরাজ। এই সন্ন্যাসী বিগত প্রায় ৪০ বছর দেশের নানা ধর্মস্থানে ঘুরে বেড়িয়েছেন। এবার কুম্ভ মেলা না থাকায় এসেছিলেন গঙ্গাসাগর মেলায়। মেলা শেষের পর তাঁর গন্তব্য অযোধ্যা। তিনিও প্রথম বিমানের যাত্রী। কাশীপুর এলাকা থেকে যাচ্ছেন ৯ জনের একটি দল। তারাও একে একে চেক ইন করে প্রবেশ করলেন বিমানবন্দরের সিকিউরিটি জোনে। এরা সবাই ২২ তারিখ অযোধ্যায় কী হয় তার সাক্ষী থাকার জন্য উন্মুখ হয়ে রয়েছেন।