কলকাতা : খাগড়াছড়িতে যে জাতিগত হিংসাত্মক ঘটনা চলছে, অনতিবিলম্বে বন্ধ করার দাবিতে বাংলাদেশ সরকারের কাছে জোর দাবি জানিয়েছে ধর্মীয় বৈষম্যবিরোধী মানবাধিকার সংগঠন বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ। এই সঙ্গে পাহাড়ী জনগোষ্ঠীর স্বার্থ ও অস্তিত্ব রক্ষায় পার্বত্য শান্তিচুক্তির বাস্তবায়নে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবিও জানানো হয়েছে।
বুধবার পরিষদের এক বিবৃতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলা হয়, আদিবাসী কিশোরীকে দলবদ্ধভাবে ধর্ষণের জন্য দায়ী দুর্বৃত্তদের গ্রেফতার না করে বরং খাগড়াছড়ির নিরীহ ও নিরস্ত্র জুম্ম জনগোষ্ঠীর উপর সশস্ত্র দুষ্কৃতকারীদের হামলা চালানো হয়েছে। ওই ঘটনায় ইতোমধ্যে ৩ জন নিহত ও ১৫ জন আহত হয়েছে, ৬ জন নিখোঁজ রয়েছে, ১৫টি বাড়ীঘর ও ৬০টি দোকানপাট এবং ১৩ টি মটরসাইকেল অগ্নিসংযোগে ধ্বংস করা হয়েছে এবং ৭টি দোকানে লুটপাট চালানো হয়েছে।
এহেন দুঃখ ও দুর্ভাগ্যজনক ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করা জন্য স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাসহ সরকারের দায়িত্বশীল ব্যক্তিবর্গের উস্কানিমূলক বক্তব্য খাগড়াছড়িসহ গোটা পার্বত্য চট্টগ্রামে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরী করেছে।”
বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মনীন্দ্র কুমার নাথের দেওয়া বিবৃতিতে লেখা হয়েছে, “ঐক্য পরিষদ খাগড়াছড়ির দুঃখজনক ঘটনা তদন্তে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের একজন সদস্যের সমন্বয়ে কর্তব্যরত বা অবসরপ্রাপ্ত একজন বিচারপতির নেতৃত্বে অনতিবিলম্বে বিচারবিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠন, ঘটনার জন্য দায়ীদের গ্রেফতারের দাবি করেছে।
সেই সঙ্গে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দান, নিহতদের প্রত্যেক পরিবারকে অন্যূন এক কোটি টাকা করে, ক্ষতিগ্রস্ত প্রত্যেক পরিবারকে অন্যূন পঁচিশ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া ও সরকারী খরচে আহতদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থার জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছে ঐক্য পরিষদ।”

