নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এজেন্টদের বড়ই সক্রিয় ভূমিকা নজরে আসছে তদন্তকারীদের, এমনটাই দাবি এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের তদন্তকারী আধিকারিকদের। তদন্ত করতে গিয়ে বারবার সামনে আসছে ‘এজেন্ট’ যোগ। এই প্রসঙ্গেই ইডি-র তরফ থেকে এও জানানো হয়েছে, ‘এজেন্ট’ মারফত চাকরি প্রার্থীদের মধ্যে যোগাযোগ রাখা হত। আর এই সব তথ্য মিলেছে তাপস মণ্ডলকে জিজ্ঞাসবাদ করার পরই। সূত্র মারফৎ এমনাটও জানা যাচ্ছে, তাপস ইডি আধিকারিকদের এমনটাইজানিয়েছেন যে তাঁর পরিচিত চাকরি প্রার্থীরা চাকরি পাওয়ার আসাতে কুন্তল ঘোষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। সেই সকল চাকরি প্রার্থীদের সঙ্গে কুন্তলের যোগাযোগের সেতুবন্ধন ছিল এজেন্টরাই। আর এই এজেন্টদের নিয়োগ করেছিলেন কুন্তল ঘোষ স্বয়ং। এঁরাই চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে কুন্তলের যোগাযোগ রাখার সেতুবন্ধ হিসেবে কাজ করেছেন। আর তদন্তে নেমে ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজন এজেন্টের নাম ইডি- র তদন্তকারী আদিকারিকদের হাতে এসে পৌঁছেছে বলেও জানানো হয়েছে ইডি-র তরফ থেকে। ইডি সূত্রে খবর, আগামীদিনে এই সব এজেন্টদেরও তলব করা হবে।
কারণ, তদন্তকারী সংস্থার ধারনা, এই সব এজেন্ট সূত্রেই ধৃত কুন্তলের এজেন্ট মারফত আর্থিক লেনদেনের বিষয় হয়ে থাকতে পারে। এজেন্টরা চাকরি প্রার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে টাকা এনে কুন্তল বা অন্য কারও কাছে পৌঁছে দেওয়ার কাজ করে থাকতে পারেন।তাই কুন্তলকে জেরার পাশাপাশি এজেন্ট হিসেবে উঠে আসা নামের ব্যক্তিদের তলব করে বয়ান রেকর্ড করতে চাইছে ইডি।
প্রসঙ্গত অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের গ্রেফতারের পর তিনি ইডি আধিকারিকদের জানিয়েছিলেন তার ফ্ল্যাটে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন যুবক এসে কখনও খাম, কখনও ব্যাগ দিয়ে যেতেন। এখানেও কিন্তু উঠে আসছে সেই এজেন্টদের কথাই। ইডি-র তদন্তকারী আধিকারিকদের ধারনা, এক্ষেত্রেও ওই যুবকরা কারও এজেন্ট হিসেবে কাজ করতেন।এর আগে একাধিক সুপারিশকারী ও মধ্যস্থতাকারীর নাম উঠে এসেছে। যারা বিভিন্ন চাকরি প্রার্থীর হয়ে তাপস মণ্ডল, কুন্তল ঘোষ, শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে সুপারিশ করেছিলেন।এমন এক সুপারিশকারী নীলাদ্রি ঘোষ, যিনি হুগলি জেলার কয়েকজন চাকরিপ্রার্থীর হয়ে তাপস মণ্ডলকে সুপারিশ করেছিলেন।পরে তাপস তার সহযোগী গোপাল দলপতির সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দিয়েছিলেন নীলাদ্রিকে।এ ব্যাাপরে তলব করা হবে নীলাদ্রিকেও দাবি ইডির।