নিজস্ব প্রতিবেদন, কাঁকসা:টিকিট মেলেনি তৃণমূলে, তাই এবার তৃণমূল ছেড়ে জাতীয় কংগ্রেসের হয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন পানাগড় বাজারের বাসিন্দা ধর্মেন্দ্র শর্মা। এবছর কাঁকসা গ্রাম পঞ্চায়েতের ৭৩ নম্বর বুথে জাতীয় কংগ্রেসের হয়ে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ধর্মেন্দ্র শর্মা জানিয়েছেন, ২০০৩ সাল থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত তিনি সক্রিয় ভাবে তৃণমূল করতেন। কিন্তু দল থেকে তাঁকে কোনও রকম সম্মান দেওয়া হয়নি বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি।
২০১৩ সাল ও ২০১৮ সালে তাঁকে পঞ্চায়েত নির্বাচনে কোনও টিকিট দেওয়া হয়নি। এ বছরও তাঁকে পঞ্চায়েত ভোটে নমিনেশন করার জন্য টিকিট দেওয়া হয়নি। তাঁর অভিযোগ, তাঁর জায়গায় এমন ব্যক্তিকে প্রার্থী করা হয়েছে যিনি ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে সিপিএমের হয়ে কাজ করেছেন। এমনকি, নির্বাচনের দিন সিপিএমের এজেন্ট হিসেবে কাজ করেছেন। সেই ব্যক্তিকে এবছর টিকিট দেওয়া হয়েছে। যে কারণে তিনি অপমানিত বোধ করছেন। তাই বাধ্য হয়ে তিনি কংগ্রেসের ‘হাত’ ধরেন। তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করার পর বুধবার জাতীয় কংগ্রেসের হয়ে কাঁকসার বিডিও অফিসে মনোনয়নপত্র জমা দেন।
যদিও এই এই বিষয়ে তৃণমূলের ব্লক নেতৃত্ব মাথা ঘামাতে চান না। কাঁকসা ব্লকের তৃণমূলের ব্লক সভাপতি ভবানী ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, টিকিট না পেলে দলে থাকব না, এমন মনোভাব নিয়ে দলে না থাকাই ভালো। যে ব্যক্তি তৃণমূলের কর্মী হিসেবে দাবি করছেন,তিনি গত দু’টি পঞ্চায়েতে তৃণমূলের বিরুদ্ধে নির্দল প্রার্থী হিসেবে লড়াই করেছিলেন। বিজেপির কাঁকসা দু’ নম্বর মণ্ডলের সভাপতি ইন্দ্রজিৎ ঢালির দাবি, তৃণমূল দলটা গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জর্জরিত। ভোটের আগেই অনেকে নির্দল হিসেবে দাঁড়াতে শুরু করেছেন। আগামী দিনে এমন ঘটনা আরও দেখা যাবে। তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই বিজেপি অনেকটাই এগিয়ে আছে বলে তাঁর দাবি।
অপর দিকে, তৃণমূল কর্মী কংগ্রেসের হয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার ঘটনায় কাঁকসা ব্লকের কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি পুরব বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, তৃণমূলের অধিকাংশ ছেলেই কংগ্রেসে যোগদান করতে চাইছেন। এখনও সে ভাবে যোগদানের প্রক্রিয়া তাঁরা শুরু করেননি। তবে ধর্মেন্দ্র শর্মা কংগ্রেসে যোগদান করায় অনেকটাই এগিয়ে গেল কংগ্রেস। তাঁর দাবি, ধর্মেন্দ্র শর্মা একজন ভালো সংগঠক। পঞ্চায়েত নির্বাচনে তিনি বিপুল ভোটে জয়ী হবেন।