ব্যালট নয়, ভোট হবে ইভিএমেই। নির্বাচন চলাকালীনই রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট। তাছাড়াও ইভিএমের সঙ্গে ১০০ শতাংশ ভিভিপ্যাট মিলিয়ে দেখার আর্জি খারিজ হয়ে গেল শীর্ষ আদালতে। ভোটারদের হাতে ভিভিপ্যাট স্লিপ তুলে দেওয়ার দাবিও শীর্ষ আদালতে নাকচ হয়ে গিয়েছে। তবে নির্বাচন কমিশনকে ভিভিপ্যাট সংক্রান্ত দুটি নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
এ ব্যাপারে আগেই আপত্তি তুলেছিল নির্বাচন কমিশন। তারা বলেছিল, সমস্ত বুথে ইভিএমের সঙ্গে ভিভিপ্যাটের কাগজ মিলিয়ে দেখতে হলে নির্বাচন প্রক্রিয়া আবার ব্যালট পেপারের জমানায় পিছিয়ে যাবে। বুধবার এই মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চও কিছুটা কমিশনের সুরেই কথা বলেছে। শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, তারা নির্বাচন নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। নির্বাচন কমিশনের মতো একটি সাংবিধানিক সংস্থার কাজে হস্তক্ষেপও করতে পারে না। তবে একই সঙ্গে তারা জানিয়েছে, নির্বাচন প্রক্রিয়াকে আরও সুরক্ষিত করার জন্য যদি সত্যিই কিছু করার থাকে, তবে তারা অবশ্যই তা করবে।
লোকসভা নির্বাচন চলাকালীনই সুপ্রিম কোর্টে ইভিএমের ভোটের সঙ্গে ভিভিপ্যাট স্লিপ মিলিয়ে দেখার আবেদনের শুনানি শুরু হয়। ব্যালটে ভোটগ্রহণ চেয়েও আবেদন জমা পড়ে। ভোটে কারচুপি রুখতে ভোটারদের হাতে ভিভিপ্যাট স্লিপ তুলে দেওয়ারও প্রস্তাব ওঠে। তবে শুক্রবার সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিয়েছে, তিনটি আর্জিই খারিজ করা হল। বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ও দীপঙ্কর দত্তের বেঞ্চের মতে, অন্ধভাবে কোনও ব্যবস্থাকে অবিশ্বাস করলে অযৌক্তিক সন্দেহ তৈরি হয়।
তবে ইভিএম নিয়ে কমিশনকে দুটি নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। প্রতীক লোড করে দেওয়ার পরে ইভিএম সিল করে দিতে হবে। ৪৫ দিনের জন্য এই ইভিএম সংরক্ষণ করতে হবে। তাছাড়াও দ্বিতীয় বা তৃতীয় স্থানে থাকা প্রার্থীদের অনুরোধে ইভিএমের পুড়ে যাওয়া মাইক্রোকন্ট্রোলার খতিয়ে দেখতে পারেন ইঞ্জিনিয়াররা। তবে খরচ বহন করতে হবে প্রার্থীদের। ইভিএমের কারচুপি ধরা পড়লে প্রার্থীদের টাকা ফেরত দেওয়া হবে।