তিলজলায় ৭ বছরের নাবালিকাকে যৌন নিগ্রহ ও খুনের ঘটনায় ফের নয়া মোড়। কারণ, পুলিশি জেরায় অলোকের স্বীকারোক্তি যে, এই শিশু খুনের ঘটনায় জড়িত নয় কোনও তান্ত্রিক। নিজে থেকেই এই কাণ্ড ঘটিয়েছে সে। তান্ত্রিকের কথা বললে সাজা কম হতে পারে, এমন পরিকল্পনা করে পুলিশকে বিভ্রান্ত করতে চেয়ে তান্ত্রিকের গল্প ফেঁদেছছিল অলোক। অলোকের সেই গল্প শুনে গত কয়েকদিন ধরে সেই তান্ত্রিকের অনেক খোঁজ করলেও তেমন কাউকে পায়নি কলকাতা পুলিশের তদন্তকারী আধিকারিকেরা। এরপর খোদ অলোককে নিয়েও বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ চালানো হয়। তাতেও কাজের কাজ কিছু হয়নি। এরপরই পুলিশ লাগাতার জেরা করে ওই অলোক কুমারকে। অবেশেষ তান্ত্রিকের যে যোগ নেই তা স্বীকার করে অভিযুক্ত অলোক কুমার। পুলিশ সূত্রের দাবি করা হয়েছে, বিকৃত যৌন বাসনা থেকেই ওই শিশুকে অপহরণ করে খুন করে অভিযুক্ত। খুনের কারণ জানতে চলে টানা জেরা। জেরায় অলোকের বিকৃত যৌন মানসিকতার বিষয়টি সামনে আসে। শুধু তাই নয়, তদন্তকারী আধিকারিকেরা এও জানান, নীল ছবির প্রতি আকর্ষণ ছিল অলোকের। তার ফোনে একাধিক এই ধরনের অশালীন ছবিও রাখা ছিল। সারাদিন সেসব ছবিই দেখত সে। খুনের পরও ঘরে বসে নাকি মোবাইলে পর্ণ ছবি দেখেছিল। আর এই নিষিদ্ধ নীল ছবি দেখেই শিশুটিকে অপরহণের ছক কষেছিল অলোক কুমার। খুনের পরও ঘরে বসে পর্ণ ছবি দেখে সারাদিন। তাই কোনও তান্ত্রিকের নির্দেশে নয়, যৌন লালসার জেরেই শিশুটিকে খুন করেছে বলে ধৃত অলোক জেরায় জানায়।
এদিকে গ্রেপ্তারের পর অলোক পুলিশের কাছে দাবি করেছিল, তান্ত্রিক বলেছে এক শিশুকন্যাকে বলি দিতে হবে। তবেই গর্ভধারণ করবে স্ত্রী। ওই শিশুকন্যাকে হতে হবে সুলক্ষণযুক্ত, রং হবে উজ্জ্বল শ্যামবর্ণ। খুনের পর দেহ তার কাছে নিয়ে আসতে হবে। ওই শব সামনে রেখেই হবে সাধনা। আর তাতেই সন্তান লাভ হবে তাঁর স্ত্রীয়ের।