বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের স্থাবর এবং অস্থাবর সম্পত্তির মূল্য ১ কোটি ৬৪ লক্ষ টাকা। সোমবার এমনই তথ্য সামনে এল নীতীশের পেশ করা তথ্য থেকেই। ২০২৩-এর জানুয়ারির গোড়ায় নীতীশ তাঁর সম্পত্তির ক্ষেত্রে যে তথ্য দিয়েছিলেন তাতে তাঁর মোট ৭৫.৩৬ লক্ষ টাকার স্থাবর এবং অস্থাবর সম্পত্তি রয়েছে বলে জানানো হয়েছিল। ২০২৪-এর প্রথমেই এই সম্পত্তির যে তথ্য দিলেন তাতে দেখা যাচ্ছে গত এক বছরে জেডিইউ প্রধানের সম্পত্তির পরিমাণ বেড়েছে দ্বিগুণেরও বেশি।
সূত্রে খবর, বিধানসভায় নীতীশ জানিয়েছেন, তাঁর কাছে ১৩ লক্ষ ৭৮ হাজার টাকা মূল্যের ১৩টি গরু এবং ১০টি বাছুর রয়েছে। দিল্লির একটি সমবায় আবাসনে রয়েছে একটি ফ্ল্যাট। এ ছাড়া একটি ট্রেডমিল রয়েছে বলেও জানিয়েছেন নীতীশ। সঙ্গে নীতীশ এও জানিয়েছেন, তাঁর কাছে নগদ ২২ হাজার টাকা এবং ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ৪৯ হাজার টাকা রয়েছে। রয়েছে, ১১ লক্ষ ৩২ হাজার টাকার একটি গাড়ি এবং ১ লক্ষ ২৮ হাজার টাকার গয়না।
তথ্য বলছে, দ্বারকা এলাকার ওই ফ্ল্যাটের বাজারমূল্য গত এক বছরে অনেকটাই বেড়েছে। তাই নীতীশের সম্পত্তির অঙ্কের এই ঊর্ধ্বগতি। তবে ২০২৩-এ নীতীশ জানিয়েছিলেন তাঁর পুত্র নিশান্তের মোট স্থাবর এবং অস্থাবর সম্পত্তির মূল্য প্রায় ৪ কোটি। কিন্তু এ বছর তা জানা যায়নি।
এদিকে বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী তথা আরজেডি প্রধান লালুপ্রসাদের পুত্র তেজস্বীর জমি, ব্যাঙ্ক অ্যাকউন্ট এবং নগদ মিলিয়ে মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৫৪ লক্ষ টাকা। তার মধ্যে রয়েছে বাণিজ্যিক ব্যবহারের জমিও। কিন্তু তেজস্বীকে ছাপিয়ে গিয়েছেন তাঁর দাদা তেজপ্রতাপ। তাঁর বিএমডব্লিউ-সহ দু’টি গাড়ি এবং একটি স্পোর্টস বাইকের মোট মূল্যই ৭৫ লক্ষ টাকা। এ ছাড়া রয়েছে, জমি, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট এবং নগদ অর্থও।
প্রসঙ্গত, নীতীশই মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন ২০১১ সালে নির্দেশ দিয়েছিলেন, তাঁর মন্ত্রিসভার প্রত্যেক সদস্যকে বছরের শেষ দিনে তাঁদের সম্পত্তির হিসাব বাধ্যতামূলক ভাবে পেশ করতে হবে। সরকারের স্বচ্ছ ভাবমূর্তি বজায় রাখতেই ছিল তাঁর ওই পদক্ষেপ।