ইসলামাবাদ, ২৮ জানুয়ারি: ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্ব রাখার কথা নির্বাচনের ইস্তেহারে উল্লেখ করলেন প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। আর দু’ সপ্তাহের মধ্যেই পাকিস্তানে নির্বাচন। তার আগে শনিবার নির্বাচনী ইস্তেহার প্রকাশিত হয় নওয়াজ শরিফের দল পাকিস্তান মুসলিম লিগের তরফে। এক্ষেত্রে বলে রাখা প্রয়োজন, প্রবল বিতর্ক উড়িয়ে দিয়ে আগামী নির্বাচনে লড়ার ছাড়পত্র মিলেছে নওয়াজ শরিফের। এবার পাক জনতার মন জয় করতেই তিনি ভারতের নাম ব্যবহার করছেন বলে দাবি রাজনৈতিক মহলের।
তবে শুধু ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্ব রাখার বার্তাই নয়, বিপুল মূল্যবৃদ্ধির জেরে ধুঁকতে থাকা পাকিস্তানের বাসি¨াদের জন্য একাধিক প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে মুসলিম লিগের তরফে। ক্ষমতায় এলে বিদ্যুতের বিলে ২০ থেকে ৩০ শতাংশ ছাড় দেওয়ার প্রতিশ্রুতি ছাড়াও সে দেশের অর্থনৈতিক হাল ফেরানোর কথাও উঠে এসেছে প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রীর দলের দেওয়া ইস্তেহারে। এমনকি, সন্ত্রাসবাদ প্রসঙ্গে কড়া বার্তা দেওয়া হয়েছে সেখানে। সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে আপস করা হবে না বলেও উল্লেখ রয়েছে।
এতকিছুর পরও সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, প্রতিবেশী দেশ ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার বার্তাও দেওয়া হয়েছে নওয়াজ শরিফের দেওয়া নির্বাচনী ইস্তেহারে। সেখানে বলা হয়েছে, ভারত-সহ অন্যান্য দেশগুলোর সঙ্গে শান্তি বজায় রাখবে পাকিস্তানের নতুন সরকার।
প্রসঙ্গত, পানামা দুর্নীতিকাণ্ডে নাম জড়িয়েছিল পাকিস্তানের চারবারের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের। এরপর থেকেই স্বেচ্ছায় নির্বাসনে ছিলেন প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী। তিনি নিজের দেশ ত্যাগ করে ব্রিটেনে গিয়ে থাকছিলেন। এর মধ্যে তোষাখানা মামলায় নওয়াজের অস্বস্তি বাড়িয়ে দেয়। ২০২০ সালে বাজেয়াপ্ত হয়ে যায় তাঁর সম্পত্তি। তবে গত বছর আদালতের রক্ষাকবচ পেতেই চার বছর পরে দেশে ফিরে আসেন সঙ্গে বাজেয়াপ্ত হওয়া সম্পত্তিও ফিরে পান। এরপরই এবার নির্বাচন কমিশনের ছাড়পত্র পেয়ে ভোটেও লড়ার সিদ্ধান্ত নেন। পঞ্চমবারের জন্য প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসার জন্য এবার ভারতের সঙ্গেও শান্তি বজায় রাখার বার্তাও দিলেন নওয়াজ।