মর্গে ছেলের মৃতদেহ দেখতে পেলেন শুধুমাত্র নাভালনির মা লুডমিলা নাভালনায়া। অভিযোগ, গোপনে দেহ সৎকার করার জন্যও চাপ দেওয়া হয়েছে তাঁকে। সই করিয়ে নেওয়া হয়েছে মৃত্যুর শংসাপত্রেও। এনিয়ে ভিডিওবার্তা দিয়ে রুশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন নাভালনির মা। বৃহস্পতিবার একটি ভিডিও বার্তা দেন নাভালনির মা। তিনি জানান, এদিন মর্গে তাঁকে ছেলের দেহ দেখার অনুমতি দিয়েছে রুশ প্রশাসন। ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, তদন্তকারীরা তাঁকে রীতিমত হুমকি দিয়েছেন। গোপনে নাভালনির দেহ কবর দিতে বলা হয়েছে। সেখানে শোকজ্ঞাপন করতে আসার জন্য কাউকে অনুমতি দেওয়া যাবে না।
অভিযোগ, ওরা পুরো বিষয়টি গোপনে সেরে ফেলতে চাইছে। কোনও শোকসভা করতে বারণ করেছে। একটি কবরস্থানে নিয়ে গিয়ে আমাকে বলা হয়, এখানেই ছেলেকে সমাধিস্থ করে দিন। কিন্তু আমি আপত্তি জানাই।তদন্তকারীরা দাবি করেছেন স্বাভাবিক কারণেই আলেক্সেইর মৃত্যু হয়েছে। আমাকে সব আইনি ও ডাক্তারি কাগজপত্র দেখানো হয়েছে। মৃত্যুর শংসাপত্রেও আমাকে দিয়ে সই করিয়ে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু দেহ আমাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়নি। উলটে কবে, কোথায়, কী ভাবে আলেক্সেইকে কবর দেওয়া হবে তা নিয়ে আমাকে চাপ দেওয়া হয়েছে।
গত ১৬ ফেব্রুয়ারি, শুক্রবার রুশ জেল কর্তৃপক্ষ রাশিয়ার বিরোধী নেতা নাভালনির মৃত্যুর খবর জানায়। এর দিন তিনেক পরে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কাছে শেষবারের মতো ছেলেকে দেখার অনুরোধ জানিয়েছিলেন লুডমিলা। নাভালনির মৃত্যুর খবর পেয়ে আইনজীবীকে সঙ্গে নিয়ে জেলেও গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু দেহ দিতে চাননি জেল আধিকারিকরা। তাঁদের দাবি ছিল, নাভালনির মৃত্যুর তদন্ত চলছে এখনও। তাই এখনই দেহ হস্তান্তর সম্ভব নয়। কিন্তু ঘটনাক্রম অন্যদিকে ঘুরে যায় খানিকক্ষণের মধ্যেই। নাভালনির আইনজীবীকে পুলিশ বলে, মর্গে নিহত নেতার দেহ নেই! তার পর সোমবার জানা যায়, একটা মর্গে নাকি রয়েছে নাভালনির দেহ।