লালমাটির গ্রামে নারায়ণের একনিষ্ঠ ভক্ত নারদ পুজো

নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঁকুড়া: ব্যানারে বড় বড় করে লেখা আছে ক্লাবের নামে দেবী সরস্বতীর নাম। কিন্তু সেই ক্লাবের উদ্যোগে পূজিত দেবর্ষি নারদ।
কিন্তু কেন জানেন? শারদীয়া এবং আলোর উৎসব পেরিয়ে যাওয়ার পর এই গ্রামে ঢুকলে মনে হবে নারদ পুজোই যেন তাদের শ্রেষ্ঠ উৎসব। বর্তমান দিনে বেকার যুবক-যুবতীদের একটাই আর্তি, আর তা হল একটা চাকরি। অনেক দেব-দেবীকে নাকি অকপটে জানিয়েও মেলেনি কোনও সুরাহা। তাই তাঁদের দৃঢ় বিশ্বাস নারদের পুজো করলেই মিলবে চাকরি। এর কারণ, নারদ হলেন এমন একজন চরিত্র, যাঁর সঙ্গে স্বর্গের সব দেব-দেবীর যোগাযোগ রয়েছে। তাই নারদকে সন্তুষ্ট করতে পারলেই, চাকরি হাতের মুঠোয়। এই ধারণা নিয়েই এখন মেতে বাঁকুড়া ২ নম্বর ব্লকের রতনপুর গ্রাম।
এই রতনপুর গ্রামে নাকি দেবর্ষি নারদের পুজো শুরু হওয়ার পর গ্রামে সুখ ও সমৃদ্ধি অনেকখানি বৃদ্ধি পেয়েছে। মিলেছে বেশ কয়েকজন বেকার যুবক-যুবতীদের চাকরিও। এই গ্রামের অমিত রানা নামে এক ব্যক্তি জানান, ২০১৪ সালে যখন এই পুজো শুরু হয়, তখন মাত্র ২২ হাজার টাকা বাজেট ছিল, যেটা এখন প্রায় ২ লাখ টাকা ছুঁয়েছে। সবই নাকি দেবর্ষি নারদের কৃপা। তাই বেকার দূরীকরণে বাঁকুড়ার দু’ নম্বর ব্লকের রতনপুরের বাসিন্দাদের বিশ্বাস নারদ-ই একমাত্র যিনি এই ব্যাপারে সিদ্ধহস্ত।
তাই খিচুড়ি ভোগ আর মেলার আয়োজনের মধ্যে দিয়ে জমজমাট রতনপুরের নারদ পুজো। ইতিমধ্যই দেবী দুর্গা, কালী জলে চলে গিয়েছেন। এখন দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জেলাতে চলছে দেবী জগদ্ধাত্রীর আরাধনা। কিন্তু রতনপুরের কাছে নারদ পুজোই যেন সেরা উৎসব। কারণ, নারদই একমাত্র, যিনি বেকার যুবকদের কাছের এবং কাজের মানুষ। আগামী দিনে তাঁরা একই ভাবে নারদ পুজোয় ব্রতী হবেল বলেই জানিয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

fourteen − eight =