নিজস্ব প্রতিবেদন, হিন্দমোটর: হুগলির হিন্দমোটর এলাকায় এক যুবকের মৃত্যুকে ঘিরে দানা বাঁধছে রহস্য। বাড়ির মধ্যেই রক্তাক্ত অবস্থায় পড়েছিলেন ওই যুবক। তাঁকে প্রথমে উত্তরপাড়া রাজবাড়ি হাসপাতালে ও পরে কলকাতা আরজিকর মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে গেলেও শেষ রক্ষা হয়নি। রবিবার রাতে নিথর দেহ আসে হিন্দমোটরে তাঁর আবাসনে। মৃতের নাম মানস চৌধুরী। জানা গিয়েছে, তাঁর মৃত্যুতে পার্থ দাস নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে উত্তরপাড়া থানার পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, ঘটনার সূত্রপাত ৯ তারিখ রাত থেকে। সেই রাতে মৃত যুবক মানস চৌধুরীকে বাড়ি পৌঁছাতে আসেন পার্থ দাস। হুগলির কোন্নগরের বাসিন্দা পার্থ মানসের বহুদিনের বন্ধু। মৃত মানস চৌধুরী হিন্দমোটরের দেবাইপুকুর এলাকার একটি আবাসনে একাই থাকতেন। তাঁর পাশের ফ্ল্যাটে থাকেন জেঠার পরিবার। পরিবারের দাবি, ৯ তারিখ রাতে পার্থ এসে জানান মদ্যপ অবস্থায় রাস্তার মধ্যে মানস পড়ে রয়েছেন, তাঁকে যাতে বাড়িতে ঢুকিয়ে নেওয়া হয়। মানসের জেঠিমা ফ্ল্যাটের দরজা খুলে মানসকে বাড়িতে ঢুকিয়ে দেন। তারপরের দিনই ভোরবেলায় পার্থ এসে ডাকাডাকি করতে থাকেন ও বলেন, মানস নাকি রক্তাক্ত অবস্থায় বাড়িতে পড়ে রয়েছেন।
পরিবারের দাবি, তাঁরা তড়িঘড়ি ঘরে প্রবেশ করে দেখেন, মেঝেতে চাপ চাপ রক্ত, লুটিয়ে পড়ে রয়েছেন মানস চৌধুরী। তারপরেই তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। দু’দিন হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করার পরও শেষ রক্ষা হয়নি। আরজিকর হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন মানস।
এই বিষয়ে মানস চৌধুরীর ভাই অরিজিৎ চৌধুরীর দাবি, ঘটনার পরেই উত্তরপাড়া থানায় তাঁরা এফআইআর দায়ের করেন। যেদিন সকালে তাঁর দাদার ঘর খুলতে যাওয়া হয় সেখানে আগে থেকেই দুই ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু তাঁরা কারা সেই বিষয়ে কেউ জানেন না। ঘটনার পরে দু’দিন পার্থ দাস লোকজন নিয়ে এসে বাড়ি পরিষ্কার করার নাম করে ঘরের মধ্যে থেকে অনেক কিছু জিনিস সরিয়ে নেন বলে অভিযোগ। অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির দাবি জানায় পরিবার।
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতদেহটির ময়নাতদন্ত করানো হয়েছে। সেই রিপোর্ট হাতে না আসা পর্যন্ত মৃত্যুর সঠিক কারণ কী তা বলা যাচ্ছে না। এই ঘটনা আত্মহত্যা নাকি খুন পুরো বিষয়টিতে এখনও ধোঁয়াশা রয়েছে। তবে মৃতদেহ শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে।