কুলতলি ধর্ষণ-কাণ্ডে ৬১ দিনের মাথায় ফাঁসির সাজা মুস্তাকিন সর্দারের

কুলতলি : দক্ষিণ ২৪ পরগণার কুলতলিতে নাবালিকাকে ধর্ষণ ও খুনের মামলায় অভিযুক্তের ফাঁসির সাজা ঘোষণা করল আদালত। শুক্রবার প্রায় ২ ঘণ্টার সওয়াল-জবাব শেষে মুস্তাকিন সর্দারের মৃত্যুদণ্ড শোনালেন বারুইপুর পকসো আদালতের বিচারক। বৃহস্পতিবারই তাঁকে

ওই মামলায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল। মাত্র ৬১ দিনের মাথায় সাজা ঘোষণা করল আদালত।

শুক্রবার আদালতে তোলার সময় সংবাদমাধ্যমের দিকে তাকিয়ে তিনি বলেন, “আমি কিছু করিনি। আমাকে ফাঁসানো হয়েছে।”, ‘কে ফাঁসাল?’, এই প্রশ্নের উত্তরে মুস্তাকিন বলেন, “পার্টির তরফে ফাঁসানো হয়েছে।” পরে আদালতে ২ ঘণ্টার সওয়াল-জবাব চলে। ফাঁসির দাবিতে সওয়াল করেন সরকারি আইনজীবী।

প্রসঙ্গত, গত অক্টোবর মাসে এক নাবালিকার মৃত্যু ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলি। রাতভর এক নাবালিকাকে খোঁজাখুঁজির পর যখন দেহ উদ্ধার হয়, তখন ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ ওঠে। সেদিন ক্ষোভে ফেটে পড়েছিল এলাকাবাসী। পরিস্থিতি সামলাতে হিমশিম খেতে হয়েছিল পুলিশকে। এরপরই গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্তকে। পরের দিন বারুইপুর আদালতে পেশ করা হয় অভিযুক্তকে।

৫ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) অভিযুক্ত মুস্তাকিন সর্দারকে দোষী সাব্যস্ত করে বারুইপুর পকসো আদালত। আর শুক্রবার প্রায় ২ ঘণ্টার সওয়াল-জবাব শেষে মুস্তাকিন সর্দারের মৃত্যুদণ্ড শোনালেন বারুইপুর পকসো আদালতের বিচারক। পকসো আইনে, খুনের মামলা ও ধর্ষণ-খুনের মামলায় মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। ঘটনার ৬১ দিনের মাথায় সাজা ঘোষণা করল আদালত। এই মামলায় মোট ৩৬ জন সাক্ষী ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

five × five =