মালদা : দলের পুরনো একটি গোলমালের ঘটনায় এলাকার এক নেতা-সহ পাঁচ জনকে গ্রেফতারের প্রতিবাদ জানিয়ে শুক্রবারই থানায় ঢুকে রীতিমতো মেজাজ হারান উত্তর মালদার বিজেপির সাংসদ খগেন মুর্মু। ধৃতদের মুক্তির দাবি ও থানার আইসির সঙ্গে দেখা করতে চেয়ে রাতভর চাঁচোল থানার সামনে ধরনায় বসেন উত্তর মালদার সাংসদ খগেন মুর্মু। পুলিশ মিথ্যা কেস সাজিয়েছে বলে অভিযোগ সাংসদের। স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করে তদন্ত করেছে পুলিশ। শনিবার সকালেও পরিস্থিতি যথেষ্ঠ উত্তপ্ত।
শুক্রবার বিকেলে চাঁচোল থানার আইসি পূর্ণেন্দু কুন্ডু সঙ্গে দেখা করতে গিয়েই কার্যত দেখা না পেয়ে তেলে বেগুনে জ্বলে ওঠেন বিজেপি সাংসদ। তাঁর অভিযোগ, এই ঘটনায় মূল অন্যায়কারীদের গ্রেফতার না করে অন্যায় ভাবে দলের স্থানীয় এলাকার এক নেতা সহ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে চাঁচোল থানার পুলিশ।
খগেন মুর্মুর অভিযোগ, যাঁরা আক্রান্ত হলেন, তাঁদেরই পরিকল্পনা করে চাঁচোল থানার আইসির মদতে গ্রেফতার করা হয়েছে। আর যারা হামলা চালালো তারা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এই ঘটনার পর শুক্রবার বিকেলে আইসির সঙ্গে দেখা করতে আসলে তিনি দেখা করতে চান নি। এরপরই থানায় গিয়ে বিক্ষোভ দেখিয়ে সাংসদ ধর্নায় বসে পড়েন। অভিযোগ, বারবার ফোন করা হলেও, ফোন কেটে দেন আইসি।
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই চাঁচলের আশ্রমপাড়া এলাকায় বিজেপির দুটি গোষ্ঠীর মধ্যে ব্যাপক গোলমাল ও সংঘর্ষ বাঁধে। আর এই ঘটনায় সংশ্লিষ্ট এলাকার বিজেপির এক পঞ্চায়েত সদস্য প্রসেনজিৎ শর্মাকে গ্রেফতার করে চাঁচোল থানার পুলিশ। পুলিশের দাবি, মারধর ও পরিবেশ উত্তপ্ত করার অভিযোগে অভিযোগে গ্রেফতার গেরুয়া শিবিরের ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

