ব্যারাকপুর : কয়েকমাস বাদেই লোকসভা নির্বাচন। ডান-বাম-গেরুয়া সব দলই ইতিমধ্যেই ভোটের ময়দানে নেমে পড়েছে। তবে ব্যারাকপুর কেন্দ্রে ফের যদি দীনেশ ত্রিবেদী প্রার্থী হন। তাহলে তাঁকে প্যাভিলিয়নে ফেরানোর চ্যালেঞ্জ জানালেন ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং। প্রসঙ্গত, বহুদিন বাদে প্রাক্তন সাংসদ দীনেশ ত্রিবেদীকে ময়দানে গিয়েছেন। রবিবার নৈহাটির বড়মার মন্দিরে তিনি পুজোও দিলেন। তবে আচমকা দীনেশ ত্রিবেদীর আবির্ভাব নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে শিল্পাঞ্চল জুড়ে।
এ প্রসঙ্গে সাংসদ অর্জুন সিংয়ের প্রতিক্রিয়া, ভোটের সময় ওনাকে দেখা যায়। ভোট মিটলেই ওনি ভ্যানিস হয়ে যান। এইজন্যই তো ওনার সঙ্গে তাঁর লড়াই ছিল। সাংসদের দাবি, ২০০৯ ও ২০১৪ সালে ব্যারাকপুর কেন্দ্র থেকে তাকে জেতানো হয়েছিল। ২০১৯ সালের নির্বাচনে ওনাকে হারানো হয়েছিল। ফের প্রার্থী হলে তাকে হারানো হবে। সাংসদের সংযোজন, বছরের ৩৬৫ দিনই তিনি মানুষের সঙ্গে থাকেন। কিন্তু ওনাকে (দীনেশ ত্রিবেদী) শুধু ভোটের সময় দেখা যায়। প্রসঙ্গত, সোমবার কাঁচড়াপাড়ায় তৃণমূল নেত্রী আলো রানি সরকারের বাড়িতে বনভোজনে হাজির ছিলেন ব্যারাকপুর কেন্দ্রের সাংসদ অর্জুন সিং। তবে দলের আদি কর্মীদের ভিড় দেখে তিনি ভীষণ আপ্লুত। সাংসদের কথায়, তৃণমূল কংগ্রেস মানেই মেলবন্ধন আর ঐক্যবদ্ধ। আলো দি-র আমন্ত্রণে দীর্ঘদিনের লড়াইয়ের সঙ্গীদের উপস্থিতিতে তাঁর ভীষণ ভালো লেগেছে।
প্রসঙ্গত, বাম জমানা থেকেই ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলের দৈন্যদশা। শিল্পাঞ্চলে বন্ধ একের পর এক কল-কারখানা। শিল্পাঞ্চলের পুরানো স্মৃতি রোমন্থন করে এদিন শ্রমিক নেতা তথা সাংসদ অর্জুন সিং বলেন, ভাই-ভাইয়ের বিবাদের জেরে বহু বছর আগে থেকেই বন্ধ গৌরীপুর জুটমিল। ওই মিলটি পুরো শেষ হয়ে গিয়েছে। শ্যামনগর ডানবার কটন মিলও শেষ হয়ে গিয়েছে। খুশির খবর হিসেবে এদিন সাংসদ বলেন, শ্যামনগর অন্নপূর্ণা কটন মিলের জমিতে রাজ্য সরকারের উদ্যোগে গড়ে উঠবে ‘ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক’। এলাকার বহু বেকার যুবকের কর্মসংস্থান হবে। সাংসদ ছাড়াও এদিন হাজির ছিলেন হালিশহরের প্রাক্তন উপ-পুরপ্রধান রাজা দত্ত, প্রাক্তন কাউন্সিলর সুভাষ চক্রবর্তী, মাখন সিনহা, বন্ধু গোপাল সাহা ও কল্পনা বসু, গদাই নিয়োগী, রঞ্জিত চৌধুরী, সোমা দাস, রানা দাশগুপ্ত-সহ ঘাসফুলের দুর্দিনের বহু সৈনিক।