নিজস্ব প্রতিবেদন, বর্ধমান: এবার নজর কাড়বে শুকনো কলাপাতার মা সরস্বতী। উচ্চতা ৫ ফুট ৫ ইঞ্চি।
প্রতিমার কারিগর তপন দাস নামে এক শিক্ষক। তপন দাস রামচন্দ্রপুর এনবি বিদ্যাপীঠের শিক্ষক। তপনবাবু বলেন, ‘শিক্ষকতার সঙ্গে সঙ্গে আমার সাহিত্য, সৃজনী, শিল্প, খেলাধুলো, নৃত্য এই সমস্ত বিষয়গুলির ওপর আগ্রহ রয়েছে। সবসময় চেষ্টা করেছি এমন কিছু একটা শিল্পের আঙ্গিকে নিয়ে আসতে, যা সমাজের ক্ষেত্রে শিক্ষনীয়। সেক্ষেত্রে উপকরণ যদি কোনও বাতিল সামগ্রী হয়। যেটাতে মানুষকে আকর্ষিত করা যাবে। এই যেমন এখনকার দিনে প্লাস্টিক, থার্মোকল চারিদিকে রমরমা, এর ফলে কী হচ্ছে, আমাদের যে সেই অতীত দিনে কলাপাতায় খাওয়া, তা উঠেই গিয়েছে। এখনকার বিয়েবাড়িতে কলাপাতা, শালপাতার ব্যবহার অনেক কমে যাচ্ছে। প্লাস্টিক, থার্মোকল ব্যবহারের ফলে সেগুলো চাষের জমি, ™ুকুর, নদী, নর্দমায় জমছে। আমাদের উন্নতি হচ্ছে ঠিকই, কিন্তু কোথাও যেন পিছন থেকে টেনে ধরা হচ্ছে উন্নয়নটাকে।’
ßুñলের ছাত্ররা ও সহকর্মীরা তপনবাবুকে ßুñলের ঠাকুর এবার তাঁর হাতের তৈরি করা হবে বলে আবদার করেছিলেন। এর থেকেই ভাবনা কলাপাতার ঠাকুরের। ৬৩ দিনের প্রচেষ্টায় কাজটা শেষ হয় বলে জানান তিনি। শিক্ষক তপন দাস বলেন, ‘আমার তৈরি মা সরস্বতী দেখে আমার পরিবার, ছাত্রছাত্রী, সহকর্মী ও বন্ধুরা খুবই আনন্দিত।’ বুধবার আপামর বাঙালি বাগদেবীর আরাধনায় মত্ত। আর এবার কলাপাতার সরস্বতী যে তাক লাগিয়েছে তা বলাই বাহুল্য।