বিছানার ওপর ডাই করে রাখা পাহাড়প্রমাণ স্তুপ। টাকা গুনেই চলেছেন একদল মানুষ। তবু শেষ হচ্ছে না । সম্প্রতি ঝাড়খণ্ডে (Jharkhand) ইডির (ED) এক হানার পর এমন পরিস্থিতিই দেখা গেল। যা ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media)। এইসঙ্গে সামনে এসেছে বিরাট দুর্নীতির ঘটনা। যে দুর্নীতিতে অভিযুক্ত খোদ ঝাড়খণ্ডের খনি সচিব আএএস (IAS) অফিসার পূজা সিংঘল (Pooja Singhal)। তাঁর নিজের বাড়ি, একাধিক অন্য ঠিকানা এবং আত্মীয়-পরিচিতদের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে মোট ২৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে ২৩ লক্ষ টাকা পূজার বাড়ি থেকেই উদ্ধার হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তাঁর চার্টার্ড অ্যাকাউন্টের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে নগদ ১৭ কোটি টাকা
উল্লেখ্য, ১০০ দিনের কাজ প্রকল্প থেকে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ ছিল পূজার বিরুদ্ধে। তা খতিয়ে দেখতেই এদিন পূজা ও তাঁর স্বামীর একাধিক বাড়ি, অফিস, আত্মীয়-পরিচিতদের বাড়িতেও হানা দেন ইডি-র তদন্তকারীরা আধিকারিকরা। জানা গিয়েছে, কলকাতার রাজার হাটে একটি বাড়ি রয়েছে পূজার। রাঁচিতে একটি হাসপাতালেও তল্লাশি চালানো হয়। এই মামলায় এর আগে ঝাড়খণ্ড সরকারে কর্মরত জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার রাম বিনোদপ্রসাদ সিনহাকে পশ্চিমবঙ্গ থেকে করেছিল ইডি।
বিনোদপ্রসাদের বিরুদ্ধে ঝাড়খণ্ড ভিজিল্যান্স ব্যুরো ১৬ টি এফআইআর (FIR) দায়ের করে এবং সেই সংক্রান্ত চার্জশিট পেশ করে। এর পরেই ইডি গ্রেপ্তার করে ওই অভিযুক্তকে। সেই সময় ভিজিল্যান্স ব্যুরো অভিযোগ করেছিল, অনৈতিক ভাবে পদের প্রভাব খাটিয়ে সরকারি তহবিলের ১৮ কোটি ৬ লক্ষ টাকার জালিয়াতি করা হয়।
ঝাড়খণ্ড সরকারের খনি ও ভূতত্ত্ব বিভাগের সচিব ২০০০ সালের ব্যাচের আইএএস অফিসার পূজা। এর আগে খুঁটিতে ডেপুটি কমিশনারের দায়িত্বও সামলেছেন তিনি। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, আর্থিক তছরুপের মামলায় ঝাড়খণ্ড, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ, দিল্লি, পঞ্জাব মিলিয়ে প্রায় ১৮টি জায়গায় তল্লাশি চালান তদন্তকারীরা। তাতেই পূজার চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট সুমন কুমারের দপ্তর থেকে নগদ ১৭ কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে। ওই ভিডিওটিই প্রকাশ্যে এসেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যেখানে দেখা গিয়েছে, বিরাট টাকার স্তুপ গুনতে ব্যস্ত ব্যাংক কর্মীরা।