সুপার কাপের গ্রুপ লিগের ডার্বি ম্যাচ মোহনবাগানের কাছে ডু অর ডাই। পাঁচ দিন আগে সুপার কাপ শুরুর ঠিক আগে খোশমেজাজে ছিল মোহনবাগান। ডেম্পোর বিরুদ্ধে ড্রই যেন সবকিছু উলটপালট করে দিল বাগান শিবিরে। সুপার কাপের নকআউট পর্যায়ে খেলতে হলে মোহনবাগানকে ডার্বিতে ইস্টবেঙ্গলকে হারাতেই হবে। ম্যাচ ড্র করলে অবশ্য সমস্যা নেই ইস্টবেঙ্গলের। প্রাক ম্যাচ সাংবাদিক সম্মেলনে অবশ্য জেতার ব্যাপারে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ বাগান হেড কোচ জোসে মোলিনা।
ডার্বির আগে অতিরিক্ত চাপ নিতে নারাজ মোলিনা। তিনি বলেন, “প্রত্যেক সমর্থক আশা করে আমরা ডার্বি জিতবো, আমরা আগেও তাদের আশা পূরণ করেছি, এবারও আমাদের চেষ্টা থাকবে তাদের আশা পূরণ করার। আমরা মোহনবাগানে আছি, মোহনবাগান সমর্থকরা জয়ের জন্য ভাববে সেটাই স্বাভাবিক, তাই এই ডার্বি জিততেই হবে, এটা অতিরিক্ত চাপের নয় আমাদের কাছে।”
মোহনবাগান অধিনায়ক শুভাশিস বসু আত্মবিশ্বাসী। তিনি বলেন, “ইস্টবেঙ্গল আগের বছরের তুলনায় অনেক বেশি কম্পিটিটিভ ফুটবল খেলছে। তাই যত বেশি ডার্বি হবে, তত ভালো আমাদের জন্য। সমর্থকরা সব সময় চান ডার্বি জিতুক দল। আমার কাছে এই ম্যাচ সুপার কাপের ফাইনালের মতো। চেষ্টা করব সেটপিসকে গোলে রূপান্তর করার।”
অন্যদিকে চেন্নাইয়িন এফসি-কে চার গোলে হারিয়ে ইস্টবেঙ্গল রয়েছে ফুরফুরে মেজাজে। ডার্বির আগে অ্যাডভান্টেজ ইস্টবেঙ্গল। সুপার কাপ সেমিফাইনালে পৌঁছনোর জন্য চাই স্রেফ ড্র। আগের দিন হোটেলে জিম ও রিকভারি সেশনের পর বৃহস্পতিবার সকালে প্র্যাকটিস করল লাল-হলুদ ব্রিগেড। তবে অনেক প্রাক্তনীরা মনে করছেন, ইস্টবেঙ্গলের মতো দলের চেন্নাইয়িনকে হারানো এমন বড় কোনও বিষয় নয়। এই সুপার কাপ শুরুর আগে অনেক বিতর্ক ঘিরে ধরেছিল ইস্টবেঙ্গলকে। চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে জয় যা অনেকটা মুছে দিয়েছে। অনুশীলন শুরুর আগে ফুটবলারদের বুঝিয়ে দিলেন, ডার্বির গুরুত্ব, কেন তাদের এই ম্যাচ জিততেই হবে।
অস্কার বলেন, “সব সময় আমাদের মোহনবাগানের সঙ্গে আমাদের একই গ্রুপে ফেলা হয়। ১১টা ম্যাচের মধ্যে ৩টে ম্যাচ এদের বিরুদ্ধে খেলেছি। মোহনবাগানের বিরুদ্ধে জিততে মাঠে নামব। আগের ম্যাচটা আমাদের পক্ষে যায়নি। পেনাল্টি শুটআউটে হেরেছিলাম। তবে আমরা এবার তৈরি। এই মাঠটা ভারতের বাকি মাঠগুলো নয়। মাঠটা ৬৬ মিটার চওড়া। হয়ত এফসি গোয়ার এএফসি ম্যাচের জন্য এমনটা করা হয়েছে। মাঠটা খুব শক্ত, বাম্বোলিমের মাঠটা তুলনামূলকভাবে ভালো। তবে খেলার মাধ্যমেই আমরা জিততে চাইব।”
তিনি আরও যোগ করেন, “যদি আমরা ভাবি ড্র করব, তাহলে মোহনবাগানের যা শক্তি রয়েছে তাতে ওরা আমাদের হারিয়ে দিতে পারে। আমরা জেতার লক্ষ্য ও মানসিকতা নিয়ে মাঠে নামব। ৭০-৮০ মিনিট হোক, আমাদের লড়ে যেতে হবে।” পাশাপাশি ইস্টবেঙ্গলের সউল ক্রেস্পো বলেন, “আমাদের কাছে এটা অন্য ম্যাচগুলোর মতই। আমরা ওদের মুখোমুখি হব এবং ম্যাচটা জিতব। আমরা তৈরি ডার্বির জন্য। এই ম্যাচ খেলার জন্য আমরা আত্মবিশ্বাসী। আমরা জেতার জন্য ভাবছি ড্রয়ের জন্য ভাবছি না।”

