সাত গোলের ম্যাচে তিন পয়েন্ট নিয়েই মাঠ ছাড়ল নাছোড়বান্দা মোহনবাগান

এক গোল খেলে আর এক গোল দেব। নাছোড়বান্দা মনোভাবেই তিন পয়েন্ট মোহনবাগানে। কেরালা ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে অ্যাওয়ে ম্যাচে ৪ মিনিটেই এগিয়ে গিয়েছিল মোহনবাগান। অনবদ্য গোলে দলকে এগিয়ে দেন আর্মান্দো সাদিকু। ধারাভাষ্যকার বলতে বাধ্য হন, ‘এই বুটগুলো গোলের জন্যই তৈরি হয়েছে।’ দুর্দান্ত একটা গোলেও স্বস্তি ছিল না। এক গোল কখনও সুরক্ষিত নয়।

ডার্বি জয়ের পর মোহনবাগান শিবিরে আশঙ্কা ছিল আত্মতুষ্টির। আর এই আশঙ্কা ভুল নয়। বড় ম্যাচে বড় জয়ের পর এমনটা হওয়াই স্বাভাবিক। এক গোল যে কোনও সময়ই শোধ হয়ে যেতে পারে। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই সেটা হল। ম্যাচের ৫৫ মিনিটে দুরন্ত কামব্যাক কেরালা ব্লাস্টার্সের। মোহনবাগান বক্সে পাস-পাস-পাস এবং গোল। ঘরের মাঠে সমর্থকদের মুখে হাসি ফোটান বিবিন মোহনন। কিন্তু শুরুতেই যে বলা হল, নাছোড়াবান্দা মোহনবাগান!

কেরালা ব্লাস্টার্স সমতা ফেরানোর ৫ মিনিটের ব্যবধানে আবারও আর্মান্দো সাদিকুর গোল। পেত্রাতোসের-মনবীর হয়ে সাদিকুর কাছে বল এবং ২-১ লিড নেয় মোহনবাগান। যদিও স্বস্তি ছিল মাত্র মিনিট তিন। ফের কামব্যাক কেরালার। আনোয়ার আলির পাশ থেকে গোল, আনোয়ারের ভুলেই বল নিয়ে এগনোর সুযোগ পান দিয়ামান্তোকোস। গোল করে সমতা ফেরান।

ম্যাচ এবং নাটকের তখনও অনেকটা সময় বাকি। এই গোলের পাঁচ মিনিটের মধ্যেই আবারও গোল মোহনবাগানের। এত গোল, হিসেবেই রাখাই কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। এ বার দীপক টাংরির সৌজন্যে। কর্নার থেকে হেডে গোল দীপক টাংরির। তাঁকে কেউ মার্কই করেননি! হয়তো হিসেবেই ধরেননি। অ্যাডেড টাইমে ৪-২ করেন জেসন কামিংস। যদিও অ্যাডেড টাইমের শেষ দিকে আরও একটি গোল কেরালার। সাত গোলের ম্যাচে ৪-৩ ব্যবধানে জয় মোহনবাগানের। তিন পয়েন্ট নিয়েই মাঠ ছাড়ে মোহনবাগান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

18 − 10 =