মোহনবাগান ক্লাবে নির্বাচনের হাওয়া। কয়েকদিন আগে বার্ষিক সাধারণ সভাতেও হাতাহাতি, চেয়ার ছোড়াছুড়ি হয় দুই গোষ্ঠীর সদস্যদের মধ্যে। পরিস্থিতি সামলাতে ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে কার্যকরী কমিটির বৈঠক ডাকার প্রস্তাব দেন সহ সভাপতি কুণাল ঘোষ। সেই বৈঠকে বিরোধী গোষ্ঠীর প্রতিনিধিকেও রাখার প্রস্তাব দিয়েছিলেন তিনি। সেই মতোই ১৫ ফেব্রুয়ারি অর্থাৎ আজ কার্যকরী কমিটির বৈঠক ডাকা হয়। মোহনবাগানের প্রাক্তন সচিব সৃঞ্জয় বসুকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। অথচ বৈঠকের কয়েক ঘণ্টা আগেই সচিবের অসুস্থতার কারণে কার্যকরী কমিটির মিটিং স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। অপারেশন ম্যানেজারের দেওয়া চিঠিকে কেন্দ্র করে বিতর্কও তৈরি হয়েছে।
সরকারি ভাবে ক্লাবের তরফে জানানো হয়েছে, সচিব দেবাশিস দত্তর অসুস্থতার কারণে কার্যকরী কমিটির বৈঠক স্থগিত করা হয়েছে। বৈঠক নিয়ে সহ সভাপতি কুণাল ঘোষ বলেন, ‘এই মুহূর্তে সচিবের অসুস্থতা আমাদের চিন্তার বিষয়। উনি গুরুতর অসুস্থ। গলায় সংক্রমণের কারণে কথা বলার মতো পরিস্থিতিতেও নেই। তাঁর অনুপস্থিতিতে মিটিং করা যেত কি না, এই নিয়ম দেখার মতো পরিস্থিতিতে আমরা ছিলাম না। এটা কারও একার সিদ্ধান্ত নয়। কার্যকরী কমিটির সকলে মিলেই এই মিটিং স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মোহনবাগান ক্লাব সংবিধান মেনেই চলে। নির্বাচন প্রক্রিয়াও হবে। সচিব সুস্থ হয়ে উঠলে দ্রুতই মিটিং ডাকা হবে।’
সভায় আসার উপস্থিত থাকার কথা ছিল প্রাক্তন সচিব সৃঞ্জয় বসুর। তিনি একটি গুরুতর অভিযোগ করে চিঠি লিখেছেন মোহনবাগান সচিবকে। সৃঞ্জয় বসু চিঠি দিয়ে অভিযোগ করেন যে, তিনি জানতে পেরেছেন, কার্যকরী কমিটির এক সদস্য (চিঠিতে নামও উল্লেখ করেছেন) ফোন করে ক্লাবের মেম্বার এবং সমর্থকদের এই মিটিংয়ে জমায়েতের চেষ্টা করেছিলেন। তাতে যে নিরাপত্তাহীনতার বিষয় জড়িত এ নিয়ে দ্বিমত নেই। কারণ, বার্ষিক সাধারণ সভাতেও ক্লাবে গুরুতর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। এমনকি ক্লাবের এক মহিলা সদস্য বলেছিলেন, তিনি সদস্য হয়েও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।