হারের হ্যাটট্রিকে বছর শেষ মোহনবাগানের

পরিসংখ্যান দিয়ে খেলা হয় না। যুবভারতীতেও হল না। পরিসংখ্যান বলছিল, ইন্ডিয়ান সুপার লিগের ইতিহাসে মোহনবাগান কখনও কেরালা ব্লাস্টার্সের কাছে হারেনি। এক দিকে যেমন এই পরিসংখ্যান ধরে রাখার লড়াই ছিল, তেমনই হারের হ্যাটট্রিক আটকানোও। কোনওটাই হল না। বছর শেষে মোহনবাগানের সঙ্গী হতাশা। মুম্বই সিটি এফসি, ঘরের মাঠে এফসি গোয়ার পর কেরালা ব্লাস্টার্সের কাছেও হার। এ বছরের শেষ ম্যাচ খেলল মোহনবাগান। হারের হ্যাটট্রিকে বছর শেষ হল। কেরালা ব্লাস্টার্স জিতল ১-০ ব্যবধানে।
মোহনবাগান যেমন টানা দু-ম্যাচ হেরে নেমেছিল, কেরালা ব্লাস্টার্স উল্টো। তারা টানা দু-ম্যাচ জিতেছিল। এর মধ্যে গত বারের লিগ শিল্ড জয়ী মুম্বই সিটি এফসির বিরুদ্ধেও জয়। স্বাভাবিক ভাবেই আত্মবিশ্বাসে অনেকটাই এগিয়ে ছিল কেরালা ব্লাস্টার্স। এই ম্যাচে নজর ছিল দুই বাঙালির ওপর। প্রীতম কোটাল এবং প্রবীর দাস। শুরু থেকেই খেললেন প্রীতম কোটাল। অন্য দিকে পরিবর্ত হিসেবে নেমেছিলেন প্রবীর। একটা সময় যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন ছিল তাঁদের ঘরের মাঠ। সেখানেই অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলতে এসেছিলেন। গ্যালারিতেও কেরালা ব্লাস্টার্সের বহু সমর্থক।
মোহনবাগানে চোট এবং কার্ড সমস্যা রয়েছে। সেটা বেশ কয়েক ম্যাচ থেকেই। কোচ হুয়ান ফেরান্দো অবশ্য বলে আসছিলেন, কোনও অজুহাত না দিয়ে এই পরিস্থিতি থেকে বেরনোর চেষ্টা করবেন। বাস্তবে তা দেখা গেল না। ম্যাচের দশ মিনিটেই গোল হজম মোহনবাগানের। এ বারের আইএসএলে এখনও অবধি সবচেয়ে বেশি গোল কেরালা ব্লাস্টার্সের দিমিত্রিয়সের। যুবভারতীতেও ব্লাস্টার্সকে এগিয়ে দেন তিনিই। শেষ অবধি জয়সূচক গোল হয়ে দাঁড়ায় সেটি। মোহনবাগান সেই অর্থে সুযোগই তৈরি করতে পারেনি। উল্টে গোলকিপার বিশাল কাইথ দারুণ একটা সেভ না করলে হারের ব্যবধান বাড়তে পারতো মোহনবাগানের। এখন অপেক্ষা নতুন বছরে, নতুন শুরুর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

fifteen − 1 =