জি৭ সম্মেলনের ফাঁকে জেলেনস্কি, ম্যাক্রঁ এবং সুনকের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক মোদির

আপুলিয়া, ১৪ জুন: জি৭ শীর্ষ সম্মেলনে গিয়ে শুক্রবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কি, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রঁ এবং ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনকের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রী মোদিকে ইটালিতে স্বাগত জানান ভারতীয় রাষ্ট্রদূত বাণী রাও।
ইটালির আপুলিয়ার বিলাসবহুল বোরগো এগনাজিয়া রিসর্টে জি৭ শীর্ষ সম্মেলন হচ্ছে। জি৭ গোষ্ঠীর সদস্য না হলেও, আউটরিচ দেশ হিসাবে ভারতকে এই শীর্ষ সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। সম্মেলনে অংশ নেওয়ার আগে, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রনেতাদের উষ্ণ আলিঙ্গন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পোপ দ্বিতীয় ফ্রান্সিস এবং ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি-সহ আরও বেশ কয়েকজন রাষ্ট্রনেতার সঙ্গে বৈঠকে বসার কথা রয়েছে মোদির।
সম্মেলনের প্রথম দিন রাশিয়া-ইউক্রেন দ্বন্দ্ব নিয়ে মূলত আলোচনা হয়েছে। কিয়েভকে ৫০০০ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ দেওয়ার মার্কিন প্রস্তাবে একমত জি৭-এর নেতারা। এরপর জেলেনস্কির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মোদি দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসেন। বিদেশ দপ্তরের মুখপাত্র, রণধীর জয়সওয়াল বলেছেন, ‘শুক্রবার সারাদিন প্রধানমন্ত্রীর একগুচ্ছ কর্মসূচি রয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রনেতাদের সঙ্গে বেশ কয়েকটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন মোদি। জি৭ শীর্ষ সম্মেলনের আউটরিচ অধিবেশনেও ভাষণ দেবেন।’ জি৭ শীর্ষ সম্মেলনের আউটরিচ অধিবেশনে শক্তি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, আফ্রিকা এবং ভূমধ্যসাগর বিষয়ে ভাষণ দেওয়ার কথা প্রধানমন্ত্রীর।
এদিনই ফরাসি প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রঁর সঙ্গেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বৈঠক করেন। এরপর রণধীর জয়সওয়াল জানিয়েছেন, দুই নেতার মধ্যে প্রতিরক্ষা, পারমাণবিক শক্তি, শিক্ষা, মহাকাশ গবেষণা, ডিজিটাল পরিকাঠামো, প্রযুক্তি, জলবায়ু পরিবর্তনের মোকাবিলা, সংযোগ এবং সংßৃñতি-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে দু’ দেশের অংশীদারিত্বকে আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক এবং আঞ্চলিক বিষয়েও মতামত বিনিময় করেছেন তাঁরা।
এদিন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনকের সঙ্গেও বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। গত সেপ্টেম্বরে নয়াদিল্লিতে আয়োজিত জি২০ শীর্ষ সম্মেলনে দুই নেতার আলোচিত বিষয়গুলি আর গৃহীত সিদ্ধান্তগুলির এদিন ™র্যালোচনা করেছেন দুই রাষ্ট্রনেতা। সেই সময় দু’ দেশের মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির আলোচনা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে সায় দিয়েছিলেন দুই রাষ্ট্রনেতাই হয়েছিলেন। এদিনও সেই বিষয়ে দু’জনের আলোচনা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। উল্লেখ্য, ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী সুনকের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মোদির তখনই শেষবার দেখা হয়েছিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

one × 4 =