নয়াদিল্লি : জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগামে হওয়া সন্ত্রাসী হামলার কড়া জবাব দিতে গিয়ে ভারত মঙ্গলবার রাতের পর পাকিস্তান ও পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর (পিওকে)-তে অবস্থিত নয়টি সন্ত্রাসবাদী ঘাঁটিতে নিখুঁত মিসাইল হামলা চালিয়েছে। এই সামরিক অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছে ‘অপারেশন সিন্দূর’। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এটিকে একটি সুচিন্তিত, সুষম এবং সীমিত পাল্টা পদক্ষেপ বলে ব্যাখ্যা করেছে, যার উদ্দেশ্য সন্ত্রাসবাদের কেন্দ্রগুলোকে ধ্বংস করা, কোনো দেশের সেনাবাহিনীকে লক্ষ্য করা নয়।
মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই অভিযান সম্পূর্ণভাবে সেইসব ঘাঁটির ওপর কেন্দ্রীভূত ছিল যেখান থেকে ভারতের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের পরিকল্পনা করা হতো। হামলাটি অত্যন্ত সাবধানে নির্বাচিত লক্ষ্যে পরিচালিত হয় এবং পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর কোনো ঘাঁটিকে টার্গেট করা হয়নি।
এই পদক্ষেপ পহেলগাম হামলার ১৫ দিন পর নেওয়া হয়েছে, যেখানে ২৫ জন ভারতীয় নাগরিক ও একজন নেপালি নাগরিককে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছিল। ভারত সরকার এই হামলার দায়ীদের কড়া বার্তা দিয়ে বলেছে, এমন প্রতিটি হামলার জবাব কঠোর ও নির্ধারক হবে।
ভারতের এই সামরিক অভিযানের পর পাকিস্তান আন্তর্জাতিক মহলের সামনে ‘শান্তি’র আবেদন জানিয়েছে। ইন্টার-সার্ভিসেস পাবলিক রিলেশনস (আইএসপিআর)-এর মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী বলেছেন, দুই দেশের মধ্যে চরম উত্তেজনার মধ্যে ভারত কোটলি, বাহাওয়ালপুর ও মুজাফ্ফরাবাদে মিসাইল হামলা চালিয়েছে। তিনি একে কাপুরুষোচিত হামলা বলে উল্লেখ করেছেন।
অন্যদিকে, ভারত স্পষ্ট করেছে যে এটি সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে নেওয়া একটি বৈধ ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ ছিল।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ‘অপারেশন সিন্দূর’ সম্পর্কিত আরও বিস্তারিত তথ্য শীঘ্রই প্রকাশ করা হবে।

