সম্প্রতি দিল্লিতে ভারতের সভাপতিত্বে সমাপ্ত হয়েছে জি-২০ সম্মেলন। সম্মেলনে ভারতের অতিথি বিভিন্ন দেশের প্রধানমন্ত্রী, প্রেসিডেন্ট ও তাঁদের স্ত্রী উপস্থিত ছিলেন। অতিথিদের জন্য বিশেষ নৈশভোজের ব্যবস্থাও করেছিলেন ভারতের রাষ্ট্রপতি।
আর সেই নৈশভোজের মেনুতে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান ছিল মিলেট বা বাজরা। মিলেট বা বাজরা পশ্চিমবঙ্গবাসীর কাছে একেবারেই জনপ্রিয় নয়। তবে ইদানীং স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ তাঁদের খাবারের তালিকায় রাখছেন মিলেট বা বাজরাকে।
কিন্তু কেন ভিভিআইপি-দের নৈশভোজে ছিল মিলেট বা বাজরার একাধিক পদ, জানেন কি! বাজরার খাদ্যগুণ জানলে চোখ কপালে উঠবে আপনারাও।
বাজরার পুষ্টিগুণ
বাজরা হল গমের মতোই একধরনের শষ্য। যাকে সুপার ফুড বলা যেতে পারে। ভিটামিন, খনিজ, ফাইবার এবং প্রোটিন সমৃদ্ধ। বাজরা গ্লুটেন-মুক্ত, শরীর থেকে টক্সিন দূর করতে সাহায্য করতে পারে। ডায়াবেটিক রোগী হোক, ছোট থেকে বড় ওজন নিয়ন্ত্রণ থেকে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ, শরীর সুস্থ রাখতে বাজরার জুড়ি মেলা ভার।তবে বাজরাও বিভিন্ন ধরনের হয়।
জেনে নিন বাজরা বা মিলেটের কয়েকটি রেসিপি
বাজরার পায়েস
—
প্রাতঃরাশে এই পদটি খুব উপযোগী। রাতভর পছন্দের জোয়ার ধুয়ে ভিজিয়ে রাখুন। রান্নার সময় প্রথমে জোয়ার জলে সেদ্ধ করে নিন। তারপর তাতে দিয়ে ফোটানো গরম দুধ। নাড়তে থাকুন। স্বাস্থ্য সচেতনভাবে বানাতে চাইলে চিনি নয়, ব্যবহার করুন গুড়।গন্ধের জন্য ভ্যানিলা ফ্লেভার। ওপর থেকে রোস্টেড কাজু, আমন্ড, পেস্তা, আখরোট ছড়িয়ে দিন।এই প্রাতঃরাশে অনেকক্ষণ পেট ভরা থাকবে। দুপুরেও এই পদ খেতে পারেন।
বাজরার উপমা
—
রাতভর বাজরা জলে ভিজিয়ে রাখুন। তারপর জল দিয়ে সেটা সেদ্ধ করে জল ঝরিয়ে নিন। একটি প্যানে এক চামচ ঘি নিয়ে তাতে কারিপাতা ও কালো সরষে ফোড়ন দিন। পছন্দের যে কোনও সবজি কুঁচিয়ে এর মধ্যে স্যতে করে নিন। ভেজে নিন বাদাম। এরপর সেদ্ধ করা বাজরা দিয়ে স্বাদমতো নুন, গোল মরিচ দিয়ে উপমা বানিয়ে নিন।