মাটিয়া কাণ্ডে নাবালিকা ধর্ষণের ঘটনায় বসিরহাট পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সৌতম ব্যানার্জি, তদন্তকারী অফিসার তাপস ঘোষ, সিআই স্বরূপনগর তিতাস কুমার মিত্রকে লালবাজারে ডেকে পাঠালেন দময়ন্তী সেন ও উচ্চপদস্থ আধিকারিকেরা।
মাটিয়া ধর্ষণকাণ্ডের নাবালিকাকে মোবাইলফোন দেওয়ার নাম করে কিশোরীকে ধর্ষণ করা হয় ২৩ মার্চ। তারপর দিন ২৪ মার্চ বিবেকনগর কূলতলা ব্রিজের কাছে সকালবেলায় কিশোরীকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে মাটিয়া থানার পুলিশ। এরপরেই তড়িঘড়ি তদন্তে নামে পুলিশ। পুলিশ জানতে পারে নাবালিকার নিজের পিসি রোজিনা বিবি ও তার প্রেমিক শহর আলি সরদার ওরফে সাগর, এই কাণ্ডে জড়িত। তৎক্ষনাৎ দুই জনকে গ্রেপ্তার করে মাটিয়া থানার পুলিশ। প্রথমে ৬ দিনের পুলিশি হেপাজত পরে সেই মেয়াদ শেষ হলে ১ এপ্রিল তাদের আবার বসিরহাট মহকুমা আদালতে তুললে বিচারক ৪ দিনের পুলিশ হেপাজতের নির্দেশ দেয়। ৫ এপ্রিল মেয়াদ শেষ হলে সেদিন আদালতে তুললে ফের ১৪ দিনের জেল হেপাজতের নির্দেশ দেয় বসিরহাট মহকুমা আদালতের বিচারক। এখন তারা জেল হেপাজতে রয়েছে।
উল্লেখ্য, মাটিয়া ধর্ষণকাণ্ডের মামলাকারীরা কলকাতা হাইকোর্টে স্পেশাল সিপি দয়মন্তী সেনকে দিয়ে তদন্ত করার আর্জি জানান, প্রধান বিচারপতি সেই আর্জি মেনে নিয়ে তদন্তের ভার দেয় দয়মন্তী সেন এর হাতে। তারপর শনিবার মাটিয়া ধর্ষণকাণ্ডের ব্যাপারে তিনজন ইনভেস্টিগেশন অফিসারদের ডেকে পাঠিয়েছে লালবাজারে, এরপর তদন্ত কিভাবে এগোবে সেটা নিয়েই অপেক্ষায় মাটিয়ার বাসিন্দারা।