ঘরের মাঠে জয়ের পর জয়। অপ্রতিরোধ্য মনে হচ্ছিল ভারতকে। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ২-০ ব্যবধানে টেস্ট সিরিজ জিতেছিলেন রোহিতরা। সিরিজের ফল নিয়ে কারও কোনও প্রশ্ন ছিল না। তবে ভারতীয় দল যে ক্রিকেটটা খেলেছিল, তাক লাগিয়ে দিয়েছিল বিশ্বকে। একটা টেস্টে প্রায় আড়াই দিন নষ্ট হওয়ার পরও বিধ্বংসী পারফরম্যান্স। ৮-এর উপর রান রেট! তাও আবার টেস্ট ক্রিকেটে। যা ইংল্যান্ডের বাজবলকেও হার মানিয়েছিল। কিন্তু ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টে হার, প্রথম ইনিংসে মাত্র ৪৬ রানে অলআউট হয়ে যাওয়া। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের দৌড়ে বড় ধাক্কা দিয়েছে ভারতকে। আপাতত সিরিজে সমতা ফেরানোয় নজর।
বেঙ্গালুরুতে প্রথম ইনিংসে ব্যাটিং বিপর্যয় হলেও দুর্দান্ত কামব্যাক করেছিল ভারত। তবে অস্বস্তি ছিল ব্যাটিং অর্ডারে তিন নম্বর। তেমনই পেসারদের পারফরম্যান্স। কিউয়ি পেসাররা ভারতের ব্যাটিং বিপর্যয়ের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। সেই পিচে অস্বস্তিতে পড়েছিল ভারতের পেসাররা। ভারতীয় দলে পেস বোলিং অলরাউন্ডার না থাকাটাও অস্বস্তির। তবে পুনেতে দ্বিতীয় টেস্টের পিচে চমক থাকতে পারে। মনে করা হচ্ছে, ব়্যাঙ্ক টার্নার রয়েছে।
পুনে টেস্টে ভারতের কাছে একটাই বড় প্রশ্ন, শুভমন গিল ফিরছেন কিনা। ঘাড়ের চোটে প্রথম ম্যাচে খেলতে পারেননি। ফলে বিরাট কোহলি তিনে ব্যাট করেছিলেন। প্রথম ইনিংসে খাতা খুলতে না পারলেও দ্বিতীয় ইনিংসে ৭০ করেছিলেন। তবে বিরাটকে তিনে ব্যাট করানোর পক্ষে কেউই নন। বরং তাঁকে পছন্দের চারেই চান। শুভমন ফিরলে তিনে খেলবেন। বিরাট ফিরবেন চারে। এরপর প্রশ্ন থাকছে, লোকেশ রাহুল নাকি সরফরাজ, একাদশে সুযোগ মিলবে কার! গত ম্যাচে ১৫০ করা সরফরাজকে বাদ দেওয়ার পক্ষে কেউই নন।
বোলিং কম্বিনেশনেও বদল হতে পারে। বাঁ হাতি রিস্ট স্পিনার কুলদীপ যাদবের পরিবর্তে খেলানো হতে পারে স্কোয়াডে সদ্য যোগ করা ওয়াশিংটন সুন্দরকে। ব্যাটিং গভীরতা বাড়বে। সঙ্গে অশ্বিনের পাশাপাশি আরও একজন অফস্পিনার। কিউয়ি শিবিরে বাঁ হাতি ব্যাটারের আধিক্য এই পরিবর্তনের কারণ হতে পারে।