ফের হিংসায় উত্তপ্ত মণিপুর। বুধবার মণিপুরের মোরে এলাকায় জঙ্গিদের হামলায় মৃত্যু হল ইন্ডিয়ান রিজার্ভ ব্যাটেলিয়ান বা আইআরবি-র এক কমান্ডোর। আহত হয়েছেন আরও এক জওয়ান।
যেখানে হামলা হয়েছে তার থেকে ২০ মিটার দূরে অসম রাইফেলসের ছাউনি রয়েছে। হামলার পরেই বুলেটপ্রুফ গাড়ি দিয়ে গোটা এলাকা ঘিরে ফেলে জওয়ানরা। সূত্রের খবর, ভোর চারটের পরে সাড়ে পাঁচটা নাগাদ ফের হামলা হয় অস্থায়ী ক্যাম্পে। এবার হামলা হয় গ্রামের এসবিআই ব্যাংক ভবনে। পর পর হামলার পরেই এলাকা ঘিরে ফেলে আইআরবি এবং অসম রাইফেলস। জঙ্গিদের খোঁজে চলছে চিরুনি তল্লাশি।
জানা গিয়েছে নিহত কমান্ডোর নাম ওয়াংখেম সমরজিৎ। রাজ্য পুলিশের এই কমান্ডো, আদতে ইম্ফল পশ্চিম জেলার মালোমের বাসিন্দা। তবে, গত বেশ কয়েকদিন ধরে তিনি মোরে শহরে মোতায়েন ছিলেন। সেখানে এক অস্থায়ী চৌকি তৈরি করা হয়েছিল। পুলিশ জানিয়েছে, দুষ্কৃতীরা সেই অস্থায়ী কমান্ডো পোস্টে আরপিজি শেল ছুড়ে মারে। এর ফলে, প্রচণ্ড বিস্ফোরণ হয়। সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা বেশ কয়েকটি গাড়ির ক্ষতি হয়। সংঘর্ষের একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, নিরাপত্তা বাহিনীর একটি ট্রাক মোরেতে ঢোকার সময়ে সশস্ত্র দুষ্কৃতীরা সেটি লক্ষ্য করে গুলি চালাচ্ছে।
Kuki_terror outfits attacked Indian Security Forces in Moreh, a border town in Manipur, again ! A Jawan of the Indian Reserve Battalion was killed in the ambush. In the confrontation, the terror group is commanding Indian Army to back off and retreat at gunpoint. With over… pic.twitter.com/Rljd4iM0sO
— Skeeper (@Skeeper10) January 17, 2024
এই হামলার সঙ্গে রাজ্য পুলিশের এক সাম্প্রতিক পদক্ষেপের যোগ রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। কয়েকদিন আগে, মায়ানমার সীমান্তের গুরুত্বপূর্ণ মোরে-তে খুন হয়েছিলেন এক পুলিশ অফিসার। সেই হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে কুকি সম্প্রদায়ের দুই ব্যক্তিকে সম্প্রতি গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। যাকে কেন্দ্র করে কুকি সম্প্রদায়ের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ ছড়িয়েছে। নতুন করে হিংসা ছড়িয়েছে মোরেতে। কুকি উপজাতিরা কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছে, মোরে থেকে রাজ্য পুলিশের সব সদস্যদের সরিয়ে দিতে হবে।
যত দিন যাচ্ছে, ততই পরিস্থিতি আরো খারাপ হচ্ছে মণিপুরে। বিশেষ করে রাজ্য পুলিশের উপর থেকে আস্থা চলে যাচ্ছে কুকি সম্প্রদায়ের। এর মধ্যেই ফের কুকি দৃষ্কৃতীদের হামলার শিকার হলেন মণিপুরের পুলিশ কমান্ডো।