‘পূর্ব মেদিনীপুরে স্কুলশিক্ষায় সবচেয়ে বেশি দুর্নীতি হয়েছে কার জন্য?’ শুভেন্দু অধিকারীর জেলা পূর্ব মেদিনীপুরে দাঁড়িয়ে নাম না করে শুভেন্দু অধিকারীকে কড়া সুরে আক্রমণ করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ‘শিক্ষায় দুর্নীতি’ থেকে শুরু করে ‘মেয়েঘটিত কেস’ সব কিছুরই বিষয়ে মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিস্ফোরক সব অভিযোগ করলেন, তবে নাম নিলেন না কারোর।
সোমবার পূর্ব মেদিনীপুরের সভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একদিকে যেমন কেন্দ্রকে কড়া সুরে আক্রমণ করেছেন, তেমনই রাজ্য়ের বিরোধী নেতৃত্বকে নিয়েও কার্যত বিস্ফোরক তৃণমূল নেত্রী। এদিনের সভায় দাঁড়িয়ে মমতা স্পষ্ট বলেন, ‘পূর্ব মেদিনীপুরে স্কুলশিক্ষায় সবচেয়ে বেশি দুর্নীতি হয়েছে কার জন্য? আমিও সব খবর রাখি। কীসের বিনিময়ে চাকরি হয়েছে? আমি বলছি, কারও চাকরি আমি যেতে দেব না।’ মমতার সংযোজন, ‘সব থেকে বেশি খেয়েছে পার্টির থেকে। নিজে ধরা পড়ার ভয়ে কোর্টে গিয়েছে। চাকরি আটকাচ্ছে। গদ্দারই এখানে সব থেকে বেশি খেয়েছে। সব থেকে বেশি দুর্নীতি করেছে।’
অন্যদিকে, কেন্দ্রকেও আক্রমণ করেন মমতা। বলেন, ‘দিল্লি থেকে কিছু লোক ভোটের সময় আসে। মানুষ মরে গেলেও তাদের পাত্তা পাওয়া যায় না। এসে বলে, তারাই নাকি সব করেছে! আমি বলি, তোমরা কী করে করছ ভাই? মাছের তেলে মাছ ভাজো আর মিথ্যে কথা বলো।’
পাশাপাশি, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলায় এসে দাবি করেছিলেন, ৪৭ হাজার কোটি টাকা বাংলাকে দিয়েছে কেন্দ্র। সেই প্রসঙ্গে বিঁধতে গিয়েই বিস্ফোরক দাবি করে ফেললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘তিনি নাকি ৪৭ হাজার কোটি টাকা বাংলাকে দিয়েছেন, আর আমরা নাকি খেয়ে নিয়েছি, ঘরবাড়ি দিইনি। অঙ্কটা বলি, যদি কারোর কোনও সন্দেহ থাকে, চ্যালেঞ্জ করবেন। আমি সরকারের কথা বলছি, পার্টির কথা নয়। ২০১৪-১৫ থেকে ২০২১-২২ সালে মনে রাখবেন কিছু কিছু স্কিম আছে, এখান থেকে যে ট্যাক্স তুলে নিয়ে যায়, তার কিছু রাজ্যের অধিকার মতো দেয়। ১৪-১৫ থেকে ২১-২২ পর্যন্ত ২৯ হাজার ৮৩৪ কোটি টাকা।’