গীতাপাঠের আয়োজনে না যাওয়ার ব্যাখ্যা মমতার

কলকাতা : আগামী বছর প্রস্তাবিত বিধানসভা ভোটের আগে হিন্দুত্বে শান দিতে ব্রিগেডে ৫ লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠের আয়োজন করেছিল আরএসএস ঘনিষ্ঠ সনাতন সংস্কৃতি সংসদ। রবিবার, ৭ ডিসেম্বর সেই অনুষ্ঠান হয় কলকাতার ঐতিহ্যবাহী ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে। সেই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকেও। রাজ্যপালের ওইদিনের অনুষ্ঠানে গিয়ে গীতাপাঠে অংশ নিলেও অনুপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সোমবার কোচবিহার যাওয়ার পথে দমদম বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে তার জবাব দিয়ে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সাফ জানালেন, ”ওটা তো বিজেপির অনুষ্ঠান, আমি কী করে যাব? নিরপেক্ষ কোনও অনুষ্ঠান হলে অবশ্যই যেতাম। কিন্তু যারা নেতাজি, বিদ্যাসাগর, রামমোহন রায়দের অপমান করে তাদের সঙ্গে আমি নেই।”

গীতাপাঠে মুখ্যমন্ত্রীর অনুপস্থিতি নিয়ে বিজেপি নেতারা কম সমালোচনা করেননি।

সোমবার কোচবিহার যাওয়ার পথে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলে তাঁকে এনিয়ে প্রশ্ন করা হয়। তাতেই মমতার সাফ জবাব, ”আমি কী করে যাব ওখানে? ওটা তো বিজেপির অনুষ্ঠান। আমার একটা আলাদা আদর্শ আছে। আমি তো ওখানে যেতে পারি না। নিরপেক্ষ কোনও অনুষ্ঠান হলে অবশ্যই যেতাম। আর তাছাড়া যারা বলে যে নেতাজিকে পছন্দ করে না, বিদ্যাসাগর-রামমোহন রায়কে পছন্দ করে না, তাদের সঙ্গে আমি নেই। থাকতে পারব না।”

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বরাবর সংখ্যালঘু তোষণের অভিযোগে সরব বিজেপি। বিশেষত ভোটব্যাঙ্কের কথা ভেবে তৃণমূলের তোষণ-রাজনীতি বলে দাবি তাদের। ইদ, ক্রিসমাসের মতো সংখ্যালঘুদের অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রীর সক্রিয় অংশগ্রহণ সেসব অভিযোগের আঁচ আরও বাড়িয়ে তোলে। তাই রবিবার গীতাপাঠের মতো এত বড় আসরে তিনি অনুপস্থিত থাকায় রাজ্যের বিরোধী দলনেতা, প্রাক্তন রাজ্য সভাপতিদের মুখেই সমালোচনা শোনা গিয়েছিল। তাঁদের বক্তব্য ছিল, গীতাপাঠে অংশগ্রহণ না করাই প্রমাণ করে, তিনি সংখ্যালঘু তোষণে ব্যস্ত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

8 + five =