সাম্প্রদায়িক ভেদাভেদে ভোটে জেতাই লক্ষ্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের, বিস্ফোরক দাবি দিলীপ ঘোষের

নিজস্ব প্রতিবেদন, বর্ধমান: হিন্দু-মুসলমানের মধ্যে ভেদাভেদ করে ভোটে জেতা একমাত্র লক্ষ্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের, বৃহস্পতিবার শহর বর্ধমানের বিরহাটা বাজারে চা চক্র কর্মসূচিতে এসে এরকমই বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ। মুর্শিদাবাদে রামনবমীর শোভাযাত্রায় ইট, পাথর, বোমা মারার অভিযোগ তুলে বৃহস্পতিবার সরব হলেন বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ।
এদিন চা চক্রে এক সরকারি কর্মচারী দিলীপবাবুর সঙ্গে দেখা করতে আসতেই তিনি তা¥কে বলেন দাদা আর ক’বছর চাকরি! সরকারি ওই কর্মচারী উত্তর দিতেই দিলীপবাবু হাসতে হাসতে প্রশ্ন করেন, ‘বেতনটা দিদির কাছে থেকে নেবেন, ভোটটা আমাকে দেবেন।’
এদিন বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষের জন্মদিন। জন্মদিনে এক জৈনিক ব্যক্তি তাঁকে পেন উপহার দেওয়া নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাকে জন্মদিনে পেন উপহার দিয়েছেন ভুল করে, আমার হাতে তো লাঠি রাখতে হয় সবার ভালো লাগে।’ এর পরেই চা চক্র থেকে তিনি বিরহাটা সবজির বাজারে ঢোকেন এবং সবজির দাম খতিয়ে দেখেন। আর সেখানেই বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী কীর্তি আজাদকে নিয়ে কটাক্ষ করলেন দিলীপবাবু,তিনি এক সবজি ব্যবসায়ীর হাতে পদ্মফুল দিয়ে বলেন, ‘ভালো আছেন, জল লেবু খাবেন, আমাদের প্রার্থী অসুস্থ হয়ে গিয়েছে বয়স হয়ে গিয়েছে তো।’
এদিন তিনি প্রথমে বর্ধমান শহরের অফিসার্স কলোনি এলাকায় সকালে প্রাতর্ভ্রমণে যান। দিলীপবাবু সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি আরও বলেন, ‘বুধবার রামনবমীর শোভাযাত্রায় ইট, পাথর, বোমা মারার চেষ্টা হয় মুর্শিদাবাদে। আমি আগেও বলেছিলাম এই ধরনের বদমাইশি যারা করত তারা আর করবে না। কিন্তু মমতা ব¨্যােপাধ্যায় ক’দিন যাবত দাঙ্গা দাঙ্গা বলে বিশেষ করে মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষজনকে উসকানোর চেষ্টা করেছেন। অনেকবার করিওছেন। আমি বলছি মুসলমান সমাজের মানুষদের দাঙ্গা করার দরকার নেই। তারা বুঝতে পেরেছে মোদির রাজত্বে ভারতবর্ষে মিলেমিশে থেকে উন্নতি করতে হবে সুখে থাকতে হবে। মমতা ব¨্যােপাধ্যায়ের রাজনীতি হচ্ছে হিন্দু-মুসলমানের ভেদাভেদ করে ভোটে জেতা। দেখা গিয়েছে কোথাও যখন মুসলমানরা রাস্তায় নেমে কোনও অন্যায় করেনি, সেখানে ভাড়াটিয়া গুন্ডা লাগিয়ে হিন্দু-মুসলমানের মধ্যে দাঙ্গা লাগানোর চেষ্টা করা হয়েছে।’ পশ্চিমবাংলার মুসলিমরা সবচেয়ে বেশি বিশ্বাসঘাতকতার শিকার হয়েছেন বলেও দাবি করেন দিলীপ ঘোষ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

4 + twenty =